জলপাইগুড়ি:-
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আগুনে প্রতিবাদের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির । সেই মলমে আদৌ কি নিয়ন্ত্রণে আসবে দ্রব্যমূল্য? প্রশ্ন এটাই।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগাতার বৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার
কংগ্রেসের ডাকে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন বাজারে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। জলপাইগুড়ির দিনবাজারে সেই কর্মসূচীতে অংশ নেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভংকর সরকার। এদিন পদাতিক এক্সপ্রেসে জলপাইগুড়ি পৌছন তিনি। প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তার জলপাইগুড়ি সফর। রোড স্টেশন থেকে সড়কপথে দিনবাজারে পৌছে সটান চলে যান বাজারের ব্যবসায়ীসের সঙ্গে কথা বলতে। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। মুদি দোকান থেকে শুরু করর আনাজপাতি, ফলের একাধিক দোকানে যান কংগ্রেস সভাপতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দিনপ্রতিদিন বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কথা বলেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। বাজারে আসা ক্রেতাদ্রের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ব্যবসায়ীদের একাংশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফে টাস্কফোর্স গড়ে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও তাতে তেমন কিছু লাভ হয়না। বাজার পরিদর্শনের পর বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শুভংকর সরকার । তার অভিযোগ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে আমজনতার প্রাণ ওষ্ঠাগত। অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র দুই দলকেই নিশানা করেন তিনি।তার কটাক্ষ দুই শাসক দলের কোনো হেলদোল নেই। কারণ শাসকদলের নেতাদের টাকা আছে। সাধারণ মানুষকে এই নিয়ে সরব হওয়ার পরামর্শ দেন শুভংকর সরকার। যদিও কংগ্রেসের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে দ্রব্যমূল্য কতটা নিয়ন্ত্রণ হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।
অন্যদিকে উপনির্বাচন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নারী নির্যাতন নিয়ে রাজ্য সরকার তথা শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কর্মসূচী শেষে তিনি উপনির্বাচনের প্রচারে কোচবিহার জেলার সিতাই বিধানসভার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

