আবাস যোজনায় বঞ্চনা নিয়ে ক্ষোভ ছিলোই। এবার সেই ক্ষোভ নেমে এলো পথে।জলপাইগুড়িতে চার লেনের মহাসড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন করলাভ্যালি চা বাগানের ১৭/২৬নং বুথের শ্রমিক এবং বাসিন্দারা । বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন এলাকার সিপিএম”এর পঞ্চায়েত সদস্য এবং সিটু নেতৃত্ব

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

জলপাইগুড়ি:-

 

জলপাইগুড়ির অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের ১৭/২৬ নং বুথে প্রায় ৩০০ পরিবার বসবসার করে। কেউ চা বাগানের শ্রমিক। কেউ বা দিনমুজুর। অধিকাংশের বাড়িঘরের অবস্থ তথৈবচ। এই বুথের ৪০জনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। বাকিরা বঞ্চিত। অনেকে একাধিকবার আবেদন করেও আবাসের তালিকায় জায়গা পাননি। এই অভিযোগ নিয়ে গত ২৮শে অক্টোবর জলপাইগুড়ি সদর ব্লক প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা এবং সিটু নেতৃত্ব। তাতেও সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন বেলা দুটো নাগাদ মহাসড়ক অবরোধ করেন চা বাগানের বঞ্চিত শ্রমিক এবং বাসিন্দারা। নেতৃত্বে ছিলেন ওই এলাকার সিপিএম এর পঞ্চায়েত সদস্যা রুবিনা মূন্ডা এবং সিটু নেতৃত্ব। তাদের প্রশ্ন ২৫০টাকা মজুরি পাওয়া শ্রমিক বা দিনমজুরি করা মানুষরা যদি সরকারি আবাসের সুবিধে না পায়, তাহলে কাদের জন্য এই প্রকল্প ? তাদের অভিযোগ, সমীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে বলেই যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রায় দেড়ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধের জেরে তৈরী হয় ব্যাপক যানযট। ভোগান্তির মুখে পড়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে বসচায় জড়িয়ে পড়েন অনেক সাধারণ মানুষ এবং গাড়ির চালক। খবর পেয়ে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের অনুরোধেও অবরোধ তুলতে রাজি হননি শ্রমিকেরা। তাদের দাবি ছিলো ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা না আসা পর্যন্ত অবরোধ চলবে। পরিস্থিত বেগতিক বুঝে এরপরই ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ছুটে আসেন। ব্লক প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় গিয়ে ফের নতুন করে সমীক্ষা করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং অবরোধ উঠে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *