গঙ্গারামপুর সাবডিভিশলান রিপোর্টারস এসোসিয়েশন তরফে প্রভাতফেরী ,শহীদ বেদীতে মাল্যদান, করার পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন সবজী মার্কেট গঙ্গারামপুর হাইরোড় ক্লাবের সামনে বিরাট সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উৎযাপন করা হল

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ প্রথম পাতা বিনোদন রবিবার রাজ্য

গঙ্গারামপুর ২১ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর-চতুর্থতমবর্ষে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার গঙ্গারামপুর সাবডিভিশলান রিপোর্টাস এসোসিয়েশন তরফে প্রভাতফেরী করে শহর পরিক্রমার পর হাইরোডের ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠান করে শহিদ বৈদীতে মাল্যদান, শহিদদের স্মৃতীর উদ্দেশ্যে বৃক্ষরোপনসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষা দিবস দিনটি পালন করা হল।সাংবাদিকদের সংগঠনের তরফে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিনে পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সমাজসেবী বিশিষ্টজনদের দিয়ে  এই দিনটি পালন করা হল।বহু বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষিক, শিক্ষিকাদের পাশাপাশি কবি ও সাহিতিক, ব্যবসায়ী আইনজীবী থেকে সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এমন অনুষ্ঠানে জনসাধারণের উৎসাহ ছিল চোখে পরার মত।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তোমায় ভুলতে পারি।১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবী আদায়ের সংগ্রামে শহীদদের আত্মবলিদানের জন্য বাংলা ভাষা মাতৃভাষায় পরিণত হয়।১৯৯৯ সালে জাতি সংঘ এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করেন।

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তোমায় ভুলতে পারি।১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবী আদায়ের সংগ্রামে শহীদদের আত্মবলিদানের জন্য বাংলা ভাষা মাতৃভাষায় পরিণত হয়।১৯৯৯ সালে জাতি সংঘ এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে২০১৫ সালে নতুন করে গঙ্গারামপুর শহর থেকেই সাবডিভিশলান রিপোর্টাস অসোসিয়েশন নামে বিরাট আকারে সাংবাদিকদের সংগঠন তৈরি হয়।যে ক্লাবটি গঙ্গারামপুর শহরের চিত্তরঞ্জন সবজী মার্কেটের দ্বিতীতলায় রয়েছে।সেখানে বিভিন্ন ধরনের দৈনিক টিভি চ্যানলেন সাংবাদিক,পত্রিকার সাংবাদিক,পাক্ষিক পত্রিকার সাংবাদিকদের পাশাপাশি কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে প্রায় ৪৫এর উপরে সদস্য সংখ্যা করেছে।এত দিন ধরে শহর এলাকায় মধ্যে ২১ফেব্রুয়ারি মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন হত না বললেই চলে। জেলার মধ্যে এই  সাংবাদিকদের সংগঠনের তরফে ক্লাব সদস্য কবি ও সাহিত্যিকদের সঙ্গে নিয়ে ৫বছর ধরে এমন একটি কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আমরা বাঙ্গালি তাই সেদিনের শহীদদের স্মৃতিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার এমন একটি দিনে গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষিক শিক্ষিকা, ক্যারাটে ছাত্রছাত্রী সাংবাদিকদের সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক, সদস্য কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে বিরাট গঙ্গারামপুরের সাংবাদিকদের ক্লাবের সামনে  থেকে প্রভাতফেরী বের করা হয়। চলে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগানও।যা গঙ্গারামপুর থানা রোড বড়বাজার, বাসষ্ট্যান্ড, হাইরোড সহ একাধিক জায়গায় ঘুরে আবার গঙ্গারামপুর হাইরোডের ক্লাবের সমানে শেষ হয়।এর পরেই উপস্থিত সাবডিভিশলান রিপোর্টারস এসোসিয়েশন সভাপতি, সম্পাদক,  চয়ন হোড়,শীতল চক্রবর্তী,ক্লবের সহ সম্পাদক পিন্টু কুণ্ডু,সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব হালদার, মহিলা সাংবাদিক চন্দিমা হোড়,নিপা চক্রবর্তী, আরতি হালদার, সাংবাদিক অমল দাস,নারায়ণ বসাক বাবাই সূত্রধর,বাসুদেব দাস,বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুকুমার সরকার ,অজিত ঘোষ, শিক্ষক গুরুদাস দাস,কলেজের অধ্যাপক  বাপ্পা সূত্রধর ,ব্যবসায়ী কমলেশ ফৌজদার ,রামগোপাল বিশ্বাস ওম প্রকাশ কানু, চিত্তরঞ্জন সবজী  মার্কেটির সম্পাদক সুনীল সাহা, সদস্য মানিক নাগ সহ উপস্থিত বিশিষ্টজনের শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন।শহীদ স্মৃতীর উদ্দ্যেশে বৃক্ষ রোপন করা হয়। উদ্বোধন সঙ্গিতের পরে সকল অতিথিদের ক্লাবের তরফে বরণ করে নেওয়া হয়।

এদিন সকাল থেকেই প্রভাতফেরী অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ বেদীতে মালাদান কর্মসুচীর পরেই চলে সাবডিভিশলান রিপোর্টারস এসোসিয়েশন ক্লাব চিত্তরঞ্জন সবজী মার্কেটের সামনে বিরাট আকারে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান।সেই মঞ্চে গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র, ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস, সমাজসেবী মৃণাল সরকার সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। যে ক্লাবটি গঙ্গারামপুর শহরের মধ্যে চিত্তরঞ্জন সবজী মার্কেটের উপরে একমাত্র সাংবাদিকদের সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত ক্লাব ক্লাবের তরফে মাতৃভাষা দিবসের উপরে বই প্রকাশ করা হয় বিশিষ্টজনেদের হাত দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *