বালুরঘাট, ১২ সেপ্টেম্বর —— শিল্প বিহীন জেলার তকমা কাটিয়ে পুজোর পরেই প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যয়ে বালুরঘাটে গড়ে উঠছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। সরকারী প্রায় ছয় একর জায়গার উপর তৈরি হতে চলেছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নির্মিত এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটি। আর যাকে ঘিরেই ঘুচতে চলেছে শিল্পবিহীন জেলার নামের তালিকা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নাম। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটের পশ্চিম রায়পুর এলাকায় সরকারী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এর জমি পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়ন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। এদিন যেখানে দপ্তরের চেয়ারম্যান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা, বিধায়িকা রেখা রায় ছাড়াও অনান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসন সুত্রের খবর অনুযায়ী, এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটি তৈরীর জন্য সরকারীভাবে প্রায় ৬ একর জমি এর আগেই বরাদ্দ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেই জমিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরীর সরকারী অনুমোদন মিলতেই এদিন যার পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। দ্রুততার সাথে যার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শুরু করা হবে কাজটি। পূজোর পরে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী হবে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটি। আর যার মাধ্যমেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগপতিদের জন্য খুলে যেতে চলেছে শিল্প স্থাপনের এক নতুন দরজা বলেই মনে করছেন অনেকে।
পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়ন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সেরা গন্তব্যস্থল এখন বাংলা। তিনি বলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে প্রচেষ্টা নিয়েছেন সেগুলোই বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই জমিতে উদ্যোগপতিরা ব্যবসা করতে পারবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সরকার অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে।
রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী তথা হরিরামপুরের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জায়গা অনেক আগেই চিহ্নিত হয়েছে। পুজোর পরেই প্রাথমিক কাজগুলি শুরু করা হবে। যার মূল তদারকিতে থাকবেন জেলাশাসক নিজেই।

