বালুরঘাট, ২৮ আগষ্ট ——- রাজ্য সভাপতির খাসতালুকেই বনধ প্রত্যাহার সাধারণ মানুষের, ব্যর্থ বিজেপির নেতা কর্মীরাও। ব্যাঙ্কের গেটে বিজেপির দলীয় পতাকা বাধতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের রোষের মুখে পড়ে বেধড়ক মার খেলেন এক ব্যাঙ্ক কর্মীও। বুধবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সুকান্তর খাসতালুক বালুরঘাট শহরে। এদিকে সকাল থেকে বনধের সমর্থনে পিকেটিং করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির বালুরঘাট শহর মন্ডল সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত সহ বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীও। প্রসঙ্গত, আর জি কর কান্ডের ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বিজেপির একাধিক নেতা কর্মী। যাদের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দেয় রাজ্য বিজেপি। যে বনধ সফল করতে এদিন সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পিকেটিং এ নামে বিজেপির নেতা কর্মীরা। পালটা বনধের বিরোধিতা করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় নামে তৃণমূল নেতৃত্বরাও। আর যার পরিপ্রেক্ষিতে এক ভিন্ন চিত্রের দেখা মেলে সুকান্তর খাসতালুক বালুরঘাট শহরে। যেখানে এদিন সকাল থেকে বেসরকারি পরিবহন সম্পুর্ণ রুপে বন্ধ থাকলেও রোজকার মতো স্বাভাবিক ছিল শহরের বাজারঘাট, অফিস আদালত। রাস্তায় অনান্য দিনের তুলনায় লোকজনের সংখ্যা কম থাকলেও স্বাভাবিক ছিল অটো, টোটো সহ সরকারী বাস পরিষেবাও। খোলা ছিল স্কুল কলেজ, পোস্ট অফিস থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের পরিষেবাও। এদিন শহরের কলেজ মোড় এলাকায় অবস্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মূল দরজায় বিজেপির দলীয় পতাকা বাধতে গিয়ে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের হাতে পাকড়াও হয়ে মার খেয়েছেন এক ব্যাঙ্কের কর্মীও। যে ঘটনাকে ঘিরে এদিন সকালে তুমুল হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায়। যদিও পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। একইসাথে ওইদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বনধের সমর্থনে পিকেটিং ও তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল ও বিজেপির নেতা কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি প্রীতম রাম মন্ডল বলেন, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ বনধকে কখনই সমর্থন করে না। এদিন যার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপির নেতা কর্মীরা বনধ সফল করতে গিয়ে সম্পুর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। মানুষ প্রত্যাহার করেছে বিজেপির ডাকা বনধকে। একইসাথে এদিন এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে বিজেপির পতাকা বাধতে দেখে তার প্রতিবাদ করে ব্যাঙ্ক খুলে দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করেছেন তারা।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু সরকার বলেন, পুলিশ শাসকের হয়ে তাবেদারি করে তাদের বনধ অসফল করতে মাঠে নেমেছে। শান্তিপূর্ণ এই বনধকে মানুষ সমর্থন করেছে। অন্যায়ভাবে তাদের শহর মন্ডল সভাপতি কে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।

