বালুরঘাট, ৪ সেপ্টেম্বর:——-— পুরসভার এলিডি স্ক্রিনের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হল এক ঠিকাশ্রমিক। সোমবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট শহরের চকভৃগু কালিতলা এলাকায়। যদিও ওই যুবকের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে এই ঘটনা নিয়ে ঠিকাদারের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, হাইভোল্টেজের তারের কাছাকাছিতে কাজ চললেও সেখানে কেন আগে থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। এদিকে ইলেকট্রিক শক খাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরেও ওই যুবককে সেখান থেকে নামাতে না পারার ঘটনা নিয়েও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা। যদিও পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই যুবককে উপর থেকে নামায় বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। তড়িঘড়ি তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তবে গুরুতর আহত ওই যুবকের শরীরের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় তার নাম পরিচয় এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। চকভৃগু এলাকাটি পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হবার পর সে এলাকা উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দেয় বালুরঘাট পুরসভা। এদিন সে হিসাবেই চকভৃগুর কালীতলা এলাকায় এলইডি স্ক্রিনের কাজ চলছিল। যে এলইডি স্ক্রিনের উপর দিয়েই গিয়েছে হাইভোল্টেজের তার। এদিন দুপুরে সেখানে কাজ করবার সময় সেই তারের সংস্পর্শে আসে এক ঠিকাকর্মী। মুহুর্তেই তার শরীরের একাংশ পুড়ে গিয়ে ঝুলতে থাকে। যা দেখে কার্যত আঁতকে ওঠেন বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফিলতির কারনেই এমন দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, ঠিকাদারের গাফিলতির কারনেই বেশকিছুক্ষন পর ওই যুবককে সময় মতো উপর থেকে নামানো সম্ভবপর হয়নি। আর যে কারনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি।
প্রত্যক্ষদর্শী দিবাকর রায় ও গৌতম চক্রবর্তীরা বলেন, এলইডি স্ক্রিনের রঙ করার কাজ চলছিল পুরসভার তরফে। যেখানে হাইভোল্টেজের তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে কাজ করবার জন্যই এমন দুর্ঘটনা।
বালুরঘাট পুরসভার কাউন্সিলর বিপ্লব খাঁ বলেন, এটা পুরসভার গাফিলতি নয়। ঠিকাদারের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।

