ভালো কিছু করার জন্য বয়স নয়, ইচ্ছেটাই প্রধান সেকথা আবারও প্রমাণ করল নবমের ছাত্রী সৌরজা

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

ভালো কিছু করার জন্য বয়স নয়, ইচ্ছেটাই প্রধান সেকথা আবারও প্রমাণ করল নবমের ছাত্রী সৌরজা। চুলের সৌন্দর্যে বিভোর না থেকে বরং সেই চুল ক্যানসার আক্রান্তের কাজে লাগাতে চুলদান করে সকলের নজর কারল ডালখোলার বছর পনেরোর সৌরজা। মহারাষ্ট্রের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ১৪ ইঞ্চি চুলদান করল সে। তাঁর এই উদ্যোগে খুশি বাবা, মা ও স্কুলের সকলেই।

সৌরজা গাঙ্গুলি ডালখোলার একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রী। বাবা গৈরিক গাঙ্গুলি পেশায় আইনজীবী এবং মা দীপান্বিতা গাঙ্গুলি গৃহবধূ। পড়াশুনার পাশাপাশি সৌরজা একজন ভালো কিকবক্সার। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনার সময় স্কুলের এক শিক্ষিকা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসার পরে সেই শিক্ষিকা সুস্থ হলেও তাঁর মাথার চুল উঠে যায়। ষষ্ঠ শ্রেণির এই ঘঠনা তার মনকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল। এরপর সৌরজা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে জানতে পারে চুলদানের বিষয়টি। তারপর ক্যানসার আক্রান্তদের মুখে হাসি ফোটাতে চুলদান করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার এই ইচ্ছার কথা

মাকে জানতেই মা আরও উৎসাহিত করে। কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে চুলদান করা যায়, তা জানতে শুরু হয় অনুসন্ধান। এরপর মহারাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থার খোঁজ মেলে, যাঁরা ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের চুলদানের বিষয়টি নিয়ে কাজ করে।

সৌরজার মা দীপান্বিতা দেবী জানান, মেয়ের এই চুলদানের ইচ্ছার কথা জানতে পেরে আমরা তাকে আরও উৎসাহ দিই। পাশাপাশি একটি সমাজসেবার সংস্থা থেকে চুলদানের পুরো প্রক্রিয়াটি খোঁজ নিই। ১৪ ইঞ্চি দৈর্ঘের চুল কেটে তা কুরিয়ার মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে ওই সমাজসেবী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।

সৌরজার প্রতিক্রিয়া, চুলদানের বিষয়টি আমি আমার বান্ধবীদের যখন জানিয়েছিলাম, তখন তাদের মধ্যে অনেকেই আমাকে বলেছিল এতবড় চুল কেটে দিবি। আমি মনে করি আমার সামান্য চুল দিয়ে যদি কারও মুখে হাসি ফোটাতে পারি, তবে সেটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। মেয়ের চিন্তাভাবনা দেখে আপ্লুত, গর্বিত বাবা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *