৫০ টি বিবেকানন্দের বানী গড় গড় করে ইংরেজীতে বলায় ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে নাম তুলে সাড়া ফেলল গঙ্গারামপুর ব্লকের নীলডাঙার অরিজিৎ, মাত্র ৬ বছর বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে নাম তুলে বাবা মায়ের সহ জেলার মুখ উজ্জ্বল করায় খুঁশি হয়েছেন সকলেই।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

গঙ্গারামপুর,১৭ অগাস্ট :————-— এক বা দুটি নয়। স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বানী গড় গড় করে ইংরেজীতে বলায় ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে নাম তুলে সাড়া ফেলল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নীলডাঙার অরিজিৎ। মাত্র ৬ বছর বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে নাম তুলে বাবা মায়ের সহ জেলার মুখ উজ্জ্বল করায় খুঁশি হাওয়া বইছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নীলডাঙার বাসিন্দা আনন্দ পাল। আনন্দ পেশায় ব্যবসায়ী। স্ত্রী অর্পনা পাল গৃহবধূ। পাল দম্পতির দুই ছেলে। আনন্দ বাবুর ছোট ছেলে অরিজিৎ একটি বেসরকারি স্কুলের ইউ কেজির পড়ুয়া। ছোট থেকে প্রশ্নে করে নতুন নতুন বিষয়ে জানার ইচ্ছে অরিজিতের। লেখাপড়া ও বন্ধুদের সঙ্গে লেখাধূলার পাশাশাশি সকলের অজান্তে কখন যেন অরিজিৎ ইংরাজীতে স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বানী মুখস্থ করে ফেলেছে। ছেলের মুখে ইংরেজীতে স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বানী শুনে বাবা,মা এক সময় অবাক হয়ে যান। এমন কি স্কুলের সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ছোট শিশু মেধা ও স্মৃতিশক্তি দেখে বাবা,মা গত ৭ জুলাই পাঁচটি বিষয়ের ওপর অরিজিতের একটি ভিডিও ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে পাঠায়। পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে গড় গড়িয়ে ইংরাজীতে স্বামী বিবেকানন্দের ৫০ টি বানী শুনে মুগ্ধ হওয়ায় অরিজিতের নাম ও ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে ঠাঁই পায়। এদিন শংসাপত্র,মেডেন,ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে বই এসে পৌঁচ্ছায় আনন্দ বাবুর হাতে। প্যাকেট খুলতে দেখতে পান ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডে নাম উঠেছে ছেলের। স্বাভাবিকভাবে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে পড়ে গঙ্গারামপুরের নীলডাঙা সহ জেলা জুড়ে। অরিজিত জানাল, স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং বাবা মায়ের চেষ্টার ফলে এমন অসম্ভব সাফল্য পেয়েছি। আশা করছি আগামীতে ও আরো বড় কিছুর জন্য চেষ্টা করব। অরিজিতের মা জানালো, খুবই ভালো লাগছে এমন সম্মান পাওয়ায়। স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনগুলো আরো ভালো হোক সেই চেষ্টাই করে যাব। অরিজিতের এক প্রতিবেশী রিয়া পোদ্দার জানালো, ওর কঠোর চেষ্টার ফলে এমন পুরস্কার পেয়েছে। আগামী দিনে ওর আরো ভালো কিছু করবে সেই আশায় রাখি। অরজিতের এমন সাফল্যে জেলার মুখ উজ্জ্বল করায় সকলেই তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *