গঙ্গারামপুর,১ অগাস্ট : জানা গিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার নয়াবাজার স্কুল পাড়ায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয় সজল ধারার পানীয় জল ও বেশ বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র কলকারখানা করেছে। অভিযোগ বেশ কিছুদিন যাবত এলাকায় লো ভল্টেজ। এতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। লো ভল্টেজের ফলে বেশির ভাগ সময় কল কারখানা বন্ধ হয়ে থাকছে। ফ্যানের পাখা না ঘোরায় গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। অভিযোগ বহুবার বিষয়টি বিদ্যুৎ দপ্তরে জানিয়েছেও কাজের কাজ হয়নি। এদিন দুপুর হতে এলাকার মানুষজন গঙ্গারামপুর,তপন রুটের নয়াবাজার স্কুল পাড়ায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। অবরোধের জেরে আটকে পড়েন তপন,গঙ্গারামপুর রুটের যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ছুটে আসেন গঙ্গারামপুর ও তপন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ চলার পর বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক ও পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
এলাকার বাসিন্দা অধর বর্মন অভিযোগ করে বলেন,আমাদের নয়াবাজার স্কুল পাড়ায় প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এলাকায় ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কারখানা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের লো ভল্টেজ থাকায় ফ্যানের পাখা ঘুরছে না। এতে গরমে নাভিশ্বাস উঠছে। বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিষয়টি আমরা বিদ্যুৎ দপ্তরে বেশ কয়েক বার জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচলের দাবি অবরোধ করেছে এলাকার মানুষজন। আমরা চাই দ্রুত যেন বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল হয়।
এলাকার বাসিন্দা সন্দীপ মহন্ত অভিযোগ করে বলে,লো ভল্টেজের জেরে আমাদের কলকারখানা চলছে না। মাঝে মধ্যে কলকারখানা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। সজল ধারা প্রকল্পের জল পেতে নাভিশ্বাস উঠছে। অনেকে ট্যাংকে জল তুলতে পারছেন না। লো ভল্টেজের জেরে পাম্প মেশিন চালাতে পারছেন না লো ভল্টেজের বিষয়টি বিদ্যুৎ দপ্তরে জানিয়েছেও কাজের কাজ হয়নি। সেজন্য ক্ষুদ্ধ হয়ে এলাকার মানুষজন অবরোধ করেছে।
খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরে আধিকারিকরা

