বালুরঘাট, ২ আগষ্ট ———– বালুরঘাট থেকে এবারে সরাসরি ব্যাঙ্গালোর পর্যন্ত রেল চালু করবার দাবি নিয়ে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হল সুকান্ত। বুধবার দিল্লীতে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার রেল উন্নয়ন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে দরবার করেন বালুরঘাটের সাংসদ। যেখানেই উঠে এসেছে একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপের বিষয়ও। যার মধ্যে অন্যতম হিসাবে বালুরঘাট স্টেশন থেকে দক্ষিণ ভারতের যশবন্তপুর পর্যন্ত নতুন ট্রেন চালুর যে দাবি এদিন সাংসদের তরফে জানানো হয়েছে তাতে কিছুটা আগ্রহও প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী। একইসাথে বালুরঘাট থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত আরও একটি নতুন ট্রেন চালুর দাবি জানানো হয়েছে সেই দাবিপত্রে। এছাড়াও বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেল প্রকল্প এবং গাজল গুঞ্জরপুর ভায়া ইটাহারের ঘোষিত রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য নতুন করে দাবি জানানো হয়েছে সাংসদের দেওয়া দাবিপত্রে। এছাড়াও বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরকে অমৃতভারত স্টেশন এবং রেলের জমিতে একটি অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম বানানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সাংসদের তরফে।
চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে রাজ্যে অন্যতম পিছিয়ে পড়া জেলা হিসাবে চিহ্নিত দক্ষিণ দিনাজপুর। এই জেলা থেকে শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। শুধু তাই নয়, সীমান্তবর্তী এলাকা হিলি থেকে প্রতিদিনই প্রচুর বাংলাদেশী মানুষরা বালুরঘাট হয়ে দক্ষিণ ভারতের দিকে যায় শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য। যেখানে যাবার জন্য প্রায় দুমাস আগে থেকেই বুকিং করতে হয় ট্রেনের টিকিট। তা নাহলে আরো দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগী ও তার পরিবারের লোকেদের। যার ফলে বালুরঘাট থেকে ব্যাঙ্গালোর কিংবা দিল্লিগামী ট্রেনের দাবি বহুদিন ধরেই রয়েছে এ জেলার মানুষের। এবারে জেলার মানুষের সেই দাবি পূরণে দিল্লীতে গিয়ে রেলমন্ত্রীর সাথে দরবার করলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এদিকে ইতিমধ্যেই তড়িৎ গতিতে বালুরঘাট রেল স্টেশনে শুরু হয়েছে পিট ও সিক লাইনের নির্মাণের কাজ। যে কাজও প্রায় ৫০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে রেল কতৃপক্ষ। যা শেষ হবার আগেই এবারে দুরপাল্লা ট্রেনের দাবি নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন সুকান্ত। আপাতত বালুরঘাট থেকে যশবন্তপুর ভায়া কাটপাটি ট্রেনের দাবি জানানো হয়েছে সাংসদের তরফে। যে ট্রেন পেলেই জেলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহ নানা উন্নয়ন হবে বলে রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছেন সাংসদ।
একইসাথে এদিন বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্প নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য রেলের তরফে অর্থ বরাদ্দও হয়েছে। যে অর্থে রেল কাজ শুরু করতে চলেছে বলেও জানিয়েছেন সাংসদ।
এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, জেলার উন্নয়ন নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বালুরঘাট থেকে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া রেল প্রকল্প সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেছেন, তিনি রেল উন্নয়নের জন্য সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্প এবং জেলার রেলের জমিতে একটি স্টেডিয়াম তৈরির বিষয় নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

