বাণগড় ঘুরে ইতিহাসের রসদ খোঁজার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

গঙ্গারামপুর,২৪ জুলাই : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ইতিহাস প্রসিদ্ধ গঙ্গারামপুরের বাণগড়।কিন্তু ঐতিহাসিক এই বাণগড় পুরোপুরো খনন কার্য হয়নি। ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে ও ড. কুঞ্জগোবিন্দ গোস্বামীর নেতৃত্বে প্রথমবার খনন কার্য শুরু হয়। তাতে উঠে আসে বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৬১ সালে পাটনা ইউনিভার্সিটির তত্বাবধানে স্বল্প কালীন হয়েছে। অর্কোলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে ফের ২০০৯ সালে বাণগড়ে তৃতীয় দফায় খনন কার্য শুরু হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত সেই খননকার্য চলে। এতে উঠে আসে প্রাচীন ইতিহাসের বিস্ময় কর তথ্য। কিন্তু মাত্র ২ বছরের সেই খনন বন্ধ হয়ে য়ায়। মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় অনেক অজানা ইতিহাস। কারণ ইতিহাসবিদদের মতে বাণগড় সভ্যতা বহু হাজার বছরের প্রাচীন।
কেন্দ্রের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু আমলা বাণগড়ে পরিদর্শনে এসেছেন। বাণগড়ের গুরুত্ব উপলদ্ধি করেছেন। আশ্বাস দিয়েছে দ্রুত খনন ও পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলার। কিন্তু তারপরেও কাজের কাজ কিছুই হয়।
এবার বাণগড় পরিদর্শনে এলেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ওয়েবেলের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেল হতে সস্ত্রীক গঙ্গারামপুরে বাণগড় পরিদর্শনে আসনে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ওয়েবেলের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বানগড়ের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের ধ্বংসাবেশ গুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন। বাণবাজার সহ বিভিন্ন সময়ের ইতিহাসের রসদ খোঁজার চেষ্টা করেন। বাণগড়ের পাশাশাশি ধলদিঘির আতাশার দরগা ও দেবীপুরের বকতিয়ার খিলজির সমাধি পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও ওয়েবেলের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক পি প্রমথ,গঙ্গারামপুর পুরসভার উপ পুরপ্রধান জয়ন্ত দাস,বঙ্গরত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যক সুকুমার সরকার,ইতিহাসবিদ ড. সমিত ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *