তপন ব্লকের চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কসবা গ্রামের ওসমান সরকার ৬ দিন পর বাড়ি ফিরলেন ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনার কবল থেকে বরাত জোড়ে প্রানে বেঁচে বাড়ি ফেরায় স্বাস্তির হাফ ছেড়েছেন পরিবারের লোকজন। সাধুবাদ জানালেন এলাকার তৃণমূল নেতাকে।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 গঙ্গারামপুর ১০ জুন দক্ষিণ দিনাজপুর: দুর্ঘটনার প্রায় ৬ দিন পর বাড়ি ফিরলেন ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনার কবল থেকে বরাত জোড়ে প্রানে বেঁচে বাড়ি ফেরায় স্বাস্তির হাফ ছেড়েছেন পরিবারের লোকজন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের আহত ওসমান সরকার। উড়িষ্যা জেলার বালেশ্বরে ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনার কবল থেকে বরাত জোড়ে প্রানে বেঁচে বাড়ি ফেরায় স্বাস্তির হাফ ছেড়েছেন পরিবারের লোকজন।
তপনে গাড়ি চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। বাড়তি আয়ের আশায় পরিবারের লোকজনকে বাড়িতে রেখে গত চারমাস আগে ব্যাঙ্গালুরুতে শ্রমিকের কাজ গিয়েছিলেন তপন ব্লকের চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কসবা গ্রামের ওসমান সরকার বাসিন্দা ওসমান সরকার। বয়স্ক মা,বাবা,স্ত্রী ও এক শিশু সন্তানকে নিয়ে ওসমানের সরকার। চারমাস পর বাড়িতে ফিরে আসছিলেন। কিন্তু শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওসমান। গুরুতর ভাবে জখম হয়। ঘটনার দিন রাতেই ওসমানের দুর্ঘটনার খবর আসে চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী বর্মন ও তৃণমূল নেতা অজয় বর্মনের কাছে। এরপরেই অজয় বাবুর তৎপরতায় পরিবারে লোকজন ছুটে ওড়িশায় ছুটে যায় ওসমানের কাছে। করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পর থেকে ওসমানের চিকিৎসা চলছিল বালেশ্বর হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসনের উদ্দোগে তপনের কসবার বাড়িতে ফিরেছে আহত ওসমান। মাথায়,পা ও চোখে আঘাত পেয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে বরাত জোড়ে প্রানে বেঁচে আসায় স্বস্তির হাফ ছেড়েছেন পরিবারের লোকজন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একটু ঘুম এসেছিল। চোখটা বন্ধ করতে বিকট অওয়াজ। চোখ খুলে জানালার দিকে তাকাতে দেখছি আগুন।কামরার ভেতর শুরু বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার হচ্ছে। অনেক ঞ্জান হারিয়ে পড়ে রয়েছে। কখন যে আমারও ঞ্জান হারিয়ে যায়। চোখ মেলতে দেখি হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে আছি। হাত,পা ব্যাথায় তুলতে পারছি না পারছিলাম না। চোখের যন্ত্রনায় তাকাতে পারছিলাম। সেই কথা সারা জীবনে যে ভুগতে পারব না। এদিন নিজের ঘরে শুয়ে থেকে ওসমান সরকার জানায়,আমি বাড়ির বিছানায় শুয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি এটা ভাবলে গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে। সব সময় যেন অভিশাপ্ত সেই ঘটনার কথা মনে পড়ায় রাতে ঘুমাতে পারছি না। খেতে ভালো লাগছে না। তিনি বলেন যশবন্তপুর হাওড়া চেপে ব্যাঙ্গালুরুতে থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম।কেন যেন বা
স্ত্রী সাইনুল খাতুন বিবি বলেন,বাড়তি আয়ের আশায় আমাদের বাড়িতে রেখে চারমাস আগে ব্যাঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছিল। কোনো রকমে আমার স্বামী প্রানে বেঁচে ফিরেছে। আর বাইরে যেতে দেব না। আহত ওসমান সরকারের মা রেশনেয়ারা বিবি বলেন,গত শুক্রবার রাতে আমাদের প্রধান বাসন্তী বর্মন ও তৃণমূল নেতা অজয় বর্মনের কাছ থেকে ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলের আহতের কথা জানতে পারি। তারা আমাদের ওড়িশায় যাবার ব্যবস্থা করে দেন। সেখান থেকে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে পাবার আমরা স্বস্তি পেয়েছি।
তৃণমূল নেতা অজয় বর্মন বলেন,আমার প্রতিবেশি ওসমান সরকার ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জখম হয়। গতকাল রাতে সে বাড়ি ফিরেছে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমারও স্বস্তির হাফ ছেড়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *