আইকার্ড বিতরণ নিয়ে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্ত ঝড়লো বালুরঘাট কলেজে। গুরুতর আহত দুই কলেজ পড়ুয়া

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন

 

 বালুরঘাট, ২৫ মে —–– আইকার্ড বিতরনেও পক্ষপাতিত্ব! প্রতিবাদ করায় এক কলেজ পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাট কোয়েড কলেজে। ঘটনার জেরে কপাল ফেটে রক্তাক্ত হয়েছে কলেজের এক পড়ুয়া তথা ডিএসও কর্মী সুমন সরেন। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে। জানা গেছে এদিন বালুরঘাট কলেজে ফার্স্ট সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীদের আইকার্ড বিতরণ চলছিল। অভিযোগ দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও শুধুমাত্র বেছে বেছে নিজেদের সমর্থকদেরই আইকার্ড পাইয়ে দিচ্ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শুধু তাই নয়, অনেকে লাইনে না দাঁড়িয়েও শুধুমাত্র দাদাগিরি দেখিয়েই আইকার্ড তুলছিল। এদিকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আইকার্ড না পাওয়ায় ঘটনার প্রতিবাদ জানান এক কলেজ পড়ুয়া। এরপরেই চলে তাকে মারধরের ঘটনা। যার প্রতিবাদ করাতেই ডিএসও নেতা সুমন সরেন কে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা। ঘটনায় ওই ডিএসও নেতার কপাল ফাটলেও জখম হয়েছেন দুইজন। যদিও তাদের তোলা অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন বলে দাবি টিএমসিপির। তাদের দাবি, মারধরের কোন ঘটনায় ঘটেনি কলেজে। বাইরে থেকে কোথাও কপাল কেটে নিয়ে এসে প্রচার নিতে চাইছে ছাত্র নেতা।

সুমন সরেন ও দীপক বর্মন নামে দুই ডিএসও কর্মী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা এদিন দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আইকার্ডের জন্য। কিন্তু কোন প্রকার লাইনে না দাঁড়িয়ে একপ্রকার দাদাগিরি দেখিয়ে আইকার্ড তুলছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। যার প্রতিবাদ করাতেই তাদের মারধর করা হয়েছে।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে শুক্লা ভুইমালি বলেন, মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কলেজে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বাইরে থেকে কপাল কেটে নিয়ে এসে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রচারে আসতে চাইছে ওই ছাত্রনেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *