বুনিয়াদপুর—- সূত্রের খবর অনুযায়ী ভুয়ো ওই শিক্ষিকার নাম সালমা সুলতানা। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কাউন্সিলিং ছাড়াই যাকে নিযুক্ত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও সেই স্কুলের আশেপাশের মানুষ থেকে শুরু করে প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের ছাত্ররাও কেউই সেই শিক্ষিকাকে চিনতে পারছেন না। এমনকি এই মহিলা এর আগে কোনদিন স্কুলেই আসেননি বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা।
এই বিষয়ে গাঙ্গুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সুরজিৎ হেমরম ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র অভিজিৎ হেমরম জানিয়েছেন আমরা গাঙ্গুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি। আমাদের স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলে ২৬ জনের শিক্ষক রয়েছে। তবে সালমা সুলতানা নামে কোন শিক্ষিকা আমরা এখনো পর্যন্ত দেখিনি।
এই বিষয়ে গাঙ্গুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসী কলিন্দ্রনাথ রায় ও অখিল শীল জানিয়েছেন আমরা জানিনা সালমা সুলতানা নামে কোন শিক্ষিকা আমাদের গাঙ্গুরিয়া স্কুলে রয়েছে। তবে যদি এসএসসি র কাউন্সিলিং ছাড়াই নবম ও দশম শ্রেণীর নিয়োগপত্র দেওয়া হয় তাহলে আমরা প্রশাসনের কাছে দ্বারস্ত হব। কারণ ভুয়ো শিক্ষিকাদের দিয়ে পড়াশোনা অবশ্যই ভালো হবে না আর আমরা সেটা চাই না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, আমাদের স্কুলে সালমা সুলতানা নামে কোন শিক্ষিকা এর আগেও জয়েন করিনি বা এখনো কোন এ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার আসেনি। এ নিয়ে আমাকেও জেলা থেকে ফোন করা হয়েছিল এ বিষয়ে জানার জন্য। তবে আমি বর্তমানে যেদিন থেকে চার্জে আছি বা এখনো পর্যন্ত যা এপোয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়েছি তাতে কোন সালমা সুলতানা নামে কাহারো এপারমেন্ট লেটার পায়নি। এর থেকে বেশী আমার কিছু জানা নেই।

