চলে গেলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অমলেন্দু ভূষণ সরকার শেষকৃত্যে উপস্থিত মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

, বালুরঘাট, ১৯ অক্টোবর, দক্ষিণ দিনাজপুর:
চলে গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপারসন অমলেন্দু ভূষণ সরকার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। শনিবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার রাতে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুরে। বাড়ি, ক্লাব ও পুরসভায় শেষবারের মতো তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে গঙ্গারামপুরের ইন্দ্রনারায়ণপুর মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র, ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাসসহ তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা ও কর্মী।
অমলবাবু দীর্ঘদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদ সামলেছেন। এর আগে তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি গঙ্গারামপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ছিলেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, অমল সরকারের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় কংগ্রেস থেকে। পরে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। দলের প্রতি নিষ্ঠা ও সংগঠক হিসেবে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন ‘মাস্টারমশাই’ নামে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তাঁকে সম্প্রতি কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলাজুড়ে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শনিবারের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করা হয়।মৃত্যুকালীন তিনি তার স্ত্রী ও পরিবারআত্মীয়-স্বজনদের রেখে গেলেন
প্রয়াত অমল সরকারের বন্ধু রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র শোকপ্রকাশ করে বলেন,“বন্ধুকে হারালাম, সেই সঙ্গে দলের একজন দক্ষ নেতৃত্বকেও হারালাম।খুব খারাপ লাগছে, ভাবতে পারছি না অমল আমাদের মাঝে আর নেই।”
গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস বলেন,
“অমলদা একজন অসাধারণ সংগঠক ছিলেন। তাঁর জায়গা পূরণ হওয়া অসম্ভব।”
আজ অমলেন্দু ভূষণ সরকার আর নেই, কিন্তু তাঁর কাজ, তাঁর স্মৃতি এবং দলীয় সহকর্মীদের মনে তিনি চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *