খরপা সমবায় সমিতির ভোটে সিপিএম নেতাকর্মীদের নমিনেশন পেপার তুলতে বাধা দিয়ে মারধর করে জমা পাকুড় ছিঁড়ে দেবার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে, দুপক্ষের গোলমালে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকাজুড়ে ,অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ,তদন্তে পুলিশ

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

বালুরঘাট ২৯ অগাস্ট।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খরপা সমবায় সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে সিপিআইএম প্রার্থীরা নমিনেশনের ফর্ম তুলতে গেলে ৫জন নেতা কর্মীদের মারধর করে জামা কাপড় ছিড়ে দিয়ে চরম হেনস্থা করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বলে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের কর্মী সমর্থক ও নেতারা। সিপিএম তৃণমূলের উভয় পক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় খারপা এলাকা।নমিনেশনের ঘর থেকে পেপার না দিয়ে সিপিএম কর্মী হাবিবুর রহমান,ও মাহাবুব,আজিমুদ্দিনদের মত সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের মারধর করে খরপা সমবায় অফিস থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ তাদের।২০১২ সালে শেষ ভোট হয়েছিল ওই সমবায় বলে জানা গেছে। মোট ৩৪৮ জন সদস্য রয়েছে খরপা সমবায় সমিতিতে।৬জন প্রার্থী বৃহস্পতিবার দুপুরে নমিনেশন তুলতে গিয়েছিল সিপিএমের হয়ে সেখানেই ভয়ানক গোলমাল ঘটে।শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে শুধু শাসক দলের ৬জন প্রার্থী নমিনেশনের ফর্ম তুলেছেন। এদিন দুপুরে খরপা সমবায় ভোটার তথা সিপিএম কর্মী হাবিবুর রহমান,মাহাবুব আলম,আইজুর আলী মত সিপিএমের কর্মীরা নমিনেশন তুলতে গিয়ে তা না পেয়ে তৃণমূলে বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এলাকার সিপিএম নেতা আইজুর আলী তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,”ভোটে হেরে যাবে বলে আমাদের নমিনেশন তুলতে বাধা দিয়েছে তৃণমূল।মারধর করে আমাদের জামাকাপড় ছেড়ে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।যা হয়েছে সব পুলিশের সামনেই হয়েছে।দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।” সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির অন্যতম নেতা অচিন্ত চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন,”ভোটে লড়তে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল।তাই আমাদের নেতা কর্মীদের মারধর করছে জামাকাপড় ছেড়ে দিচ্ছে।থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল পাল্টা সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,”ভোটের লড়াই লোক নেই আর তৃণমূলকে বদনাম করার জন্যই নিজেরা নিজেদের জামা কাপড় ছিড়ে মিথ্যা কথা বলছে।পুলিশ তদন্ত করলেই সব প্রমাণ পাবে।” গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ অধিকারিক দীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন ,”লিখিত অভিযোগ পেলে পুরোবিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।” এদিন দুপক্ষের বিবাদে কার্যত রনক্ষেত্রের চেহারা নেয় খড়পা সমবায় সমিতি চত্বর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *