গঙ্গারামপুর ১২ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর-কৃষক স্বার্থে জেলার মধ্যে নামকরা হিমঘরে আলু সংরক্ষন করা শুরু হল। শুক্রবার থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের কালদিঘীর সমবায় হিমঘরে আলু সংরক্ষনের প্রথম দিনেই কৃষকদের ভিড় ছিল চোখে পরার মত।সকল কৃষকের স্বার্থে একমাত্র তারাই সব ধরনের সুবিধা সহ ভালো পরিষেবা দিয়ে এসেছেন বলেই এখানে কৃষকেরা আলু সংরক্ষন করতে ভিড় করেন প্রতি বছর জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান। আলু সংরক্ষন করা শুরু হয়েছে ১০ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। কালদিঘী সমবায় হিমঘরে আলু সংরক্ষন করে সব ধরনের সুবিধা পান বলেই শুধুমাত্র এখানেই আসেন আলু সংরক্ষন করতে আসা কৃষকেরা বলে এমনটাই জানালেন তাঁরা।
গঙ্গারামপুর ব্লকের কালদিঘী এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটি সুত্রে খবর, এই হিমঘরে বিরাট আকারে দুটি ইউনিট রয়েছে। সেখানে জেলার ৮টি ব্লকের পাশাপাশি তিনটি পুরসভা এলাকার সমস্ত কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত ২ লক্ষ ৪হাজার প্যাকেট আলু সংরক্ষন করার ব্যবস্থা আছে। প্রতি ৫১কেজির এক প্যাকেট আলু সংরক্ষন করার জন্য গত বছরের মত এবছও ৯১টাকা সরকারি মূল্য ধার্য করা হয়েছে বলে যানা গিয়েছে।প্রতি কৃষক সর্বনিন্ম ১০ প্যাকেট আলু ৫ ১কেজির একটি করে প্যাকেট হবে)রাখতে পারবে। ইচ্ছে করলে কৃষক তাদের চাহিদামত আলু সংরক্ষন করার সুযোগ থাকছে। ১০প্যাকেট আলুর উপরে কৃষকেরা নিজেদের ইচ্ছেমত যত আলু ৯১টাকা এক প্যাকেটের জন্য সরকারি মুল্য দিয়ে হিমঘরে সংরক্ষন করে রাখতে পারবে। হিমঘর সুত্রে খবর ,কষকস্বার্থে গত বছর থেকে কৃষকদের সবিধায় আগাম কোন বন্ডের টাকা না নিয়েই জেলার মধ্যে এই হিমঘর আলু সংরক্ষন করে রেখেছিল। প্রতি বছর মার্চ মাসের ১০তারিখ থেকে হিমঘরে আলু সংরক্ষন করা শুরু হয়। কৃষকদের সুবিধা মত আলু সংরক্ষণের তিন মাস পর থেকেই হিমঘর থেকে আলু বের করতে পারবে। যদিও হিমঘর কর্তৃপক্ষ আলু নভেম্বর মাসের ১৫তারিখ পর্যন্ত তা সংরক্ষন করে রাখবে বলে যানা গিয়েছে। এবার কৃষকদের সুবিধায় বিশ্রামাগার থেকে শুরু করে নানা ধরনের সুবিধা দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে আলু সংরক্ষন করতে আসা কৃষকদের জন্য ।
শুক্রবার সকাল থেকেই জেলার বালুরঘাট, তপন কুমারগঞ্জ, বংশীহারী, হরিরামপুর কুশমণ্ডি থেকে বহু কৃষক গঙ্গারামপুরের কালদিঘী সমবায় হিমঘর আলু সংরক্ষন করতে শুরু করেছেন।

