বালুরঘাট, ১৪ ডিসেম্বর —–— বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সহ দুই সাধুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার বালুরঘাটে ধিক্কার মিছিল সংগঠিত করল অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতি। শহরের হাইস্কুল মাঠ থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল ঢাক-ঢোল সহযোগে ঘুরে বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।
সংগঠনের মুখপাত্র অখিল বর্মনের অভিযোগ, বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ৮৮টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং ৭০ জন নিরপরাধ হিন্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, “চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সহ অন্যান্য সাধুদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এটি মৌলবাদীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে এ ধরনের অত্যাচার বন্ধ হওয়া উচিত।” মিছিলে অংশ নেওয়া অনান্য সাধু ও বাউলরা দাবি করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন রুখতে ভারত সরকার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির তৎপর হওয়া জরুরি। তাদের দাবি, হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য অবিলম্বে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা হোক বাংলাদেশে। এদিন এই মিছিলে সামিল হওয়া বিক্ষোভকারীরা একজোটে শ্লোগান দেন “ অবিলম্বে বাংলাদেশে মৌলবাদী শাসনের অবসান চাই,” “ বন্ধ করা হোক সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার,” একইসাথে মুক্তি দেওয়া হোক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সহ আরো দুই সাধুকে।
অখিল বর্মন এদিন স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, “যদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হয়, তবে আমরা সারা দেশে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”
অমৃত বাউল লোকগান প্রসার সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এই মিছিলকে কেন্দ্র করে শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যেও এদিন ব্যাপক সাড়া পড়েছে। অনেকেই এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনায় আসা উচিত।
সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে সংগঠিত এই মিছিলটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠেই শেষ হয়। শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংগঠনের সদস্য এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

