, ২৫ নভেম্বর —— খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর খাসতালুকেই এবারে রেল নিয়ে চরম দুর্ভোগ। ইলেকট্রিকের তার ছিড়ে বিপত্তি, আতঙ্কে ট্রেন থেকে ঝাপ দিয়ে নিজেদের জীবন বাচালেন কলকাতাগামী তেভাগা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। পাচ ঘন্টাতেও মিটলো না সমাধান। টিকিটের টাকা ফেরত না পেয়ে রেলের বেহাল পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন যাত্রীরা। সোমবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রামপুর স্টেশন সংলগ্ন ১৫ মাইল এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে রেলযাত্রীদের মধ্যে।
জানা যায়, এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বালুরঘাট থেকে রওনা হওয়া কলকাতাগামী ওই তেভাগা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রামপুর স্টেশনের কাছে ১৫ মাইল এলাকায় ইলেকট্রিকের তার ছিড়ে বিপত্তির মুখে পড়ে। এরপরেই যাত্রীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে ট্রেন থেকে ঝাপ দিয়ে নিজেদের জীবন বাচানোর চেষ্টা করেন। যদিও এই ঘটনায় তেমন কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা সময় পেরিয়ে গেলেও রেলের তরফে কোনো সাহায্য মেলেনি এমনটাই অভিযোগ রেলযাত্রীদের। শুধু তাই নয় ঘটনাস্থলে সেভাবে দেখা যায়নি কোন রেলকর্মীদের বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। যাত্রীদের আরো অভিযোগ, টিকিটের টাকা ফেরানো থেকে শুরু করে বিকল্প ব্যবস্থার কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি রেলের তরফে।
ক্ষুব্ধ যাত্রীরা জানান, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর খাসতালুকে যদি রেলের এমন হাল হয়, তাহলে দেশের অন্যত্র কী পরিস্থিতি, তা ভাবতেই ভয় লাগে।” রেল পরিষেবার গাফিলতি এবং যাত্রী নিরাপত্তা উপেক্ষিত হওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
রেলযাত্রী প্রিয়া হালদার ও বিশ্বনাথ সরকাররা বলেন, ততকালে টিকিট কেটে অসুস্থ রোগী নিয়ে পাচ ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছেন কিন্তু রেলকতৃপক্ষের কোন হেলদোল নেই। এধরণের অব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত এবং যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
এই ঘটনা শুধু রেল ব্যবস্থার দুর্বলতাই নয়, যাত্রী সুরক্ষার প্রতি রেলের উদাসীনতাকেও তুলে ধরেছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, বড় দুর্ঘটনা না হলে কি রেলের ঘুম ভাঙবে না? রেল পরিষেবার প্রতি আস্থা ফেরাতে এই পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। যদিও এনিয়ে রেলকতৃপক্ষ কোন মন্তব্য করতে চান নি।

