গঙ্গারামপুর ২১ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুরু ১০০ টাকার টিকিট লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়ার পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে খেলা করার দিনে পালিয়ে গেলে জুয়ারুয়া বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে ,পুলিশের নাকের ডগায় ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও বহু দিন ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লক ও থানার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে মাইক বাজিয়ে সেই টিকিট বিক্রি হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলেও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে টিকিট বিক্রি করা জুয়া খেলার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জুয়ারুদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বুলেরো গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনীর পাশাপাশি গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্ব বিরাট পুলিশ বাহিনী সেখানে ছুটে যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসীরা,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে ঘটনা। পুলিশ এমন খেলার বিষয়টি যানে না বলে জানিয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টির উপরে তদন্ত চলছে। গঙ্গারামপুর ব্লকের প্রানসাগর এলাকায় শুভ নববর্ষ উপলক্ষে কয়েকমাস আগে দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের সাহায্যার্থে প্রানসাগর হাটখোলা মাঠে ১০০টাকা লটারির টিকিট বিক্রি করার নাম জয়ারুরা প্রথম পুরস্কার বুলেরো গাড়ি থেকে শুরু করে অল্টো গাড়ি, মটোর বাইক থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যে তাঁরা পুরস্কারের তালিকায় বাদ রেখেছে। টিকিটের নিচে জুয়ারুদের খেলা পরিচালনা করার জন্য সম্পাদক হিসেবে রফিকুল আলম সরকার, সম্পাদক ইনজামুল সরকার কোষাধক্ষ্য সারোয়ার হোসেন মন্ডলের নাম লেখা রয়েছে।অভিযোগ উঠেছে যে লটারির টিকিট প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে গঙ্গারামপুর ব্লকের
প্রানসাগর থেকে শুরু করে গঙ্গারামপুর সহ জেলাজুড়ে তা প্রায় কোটি টাকার টিকিট এই সমস্ত জুয়ারুরা বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ,স্থানীয় প্রানসাগর ক্যাম্প এলাকায় এমন জুয়ারুদের লক্ষ লক্ষ টাকা জুয়ার লটারি বিক্রি হলেও কেন তাঁরা কোন ব্যবস্থা নিয়নি সেবিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই। সঙ্গে শহর গঙ্গারামপুরে মাইক বাজিয়ে বিরাট অঙ্কের জুয়ার লটারির এইভাবে বিক্রি হলেও গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ প্রশাসন ও ডিআইবি বিভাগ সেই ঘটনা জানতেই পারল না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই।
২১ই মার্চ বিকেল ৫টায় ছিল পানসাগরের লটারি খেলার দিন ছিল ।এদিন সকাল থেকেই জুয়ারুরা নিজেদের মালপত্র গুছিয়ে সেখান থেকে পাততালি গোছানোর চেষ্টা করে গেছে। রাতেও যখন জুয়ারু আর বিক্রি করার টিকিটের উপরে খেলা না করানোই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি বুলেরো গাড়িতে আগুন ধরিয়ে গিয়ে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করে
এক এলাকাবাসী জানান, আমাদের সঙ্গে জুয়ারুরা প্রতারনা করেছে। পুলিশ বিষয়টি জানেনা এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির টাউন মন্ডল সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ পুলিশের ভুমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ,রাজ্য এমন জুয়ারুরা পরিচালনা করছে সঙ্গে রয়েছে পুলিশও। এই ঘটনা বন্ধ হওয়া দরকার।
সিপিএমের এরিয়া সম্পাদক অচিন্ত চক্রবর্তী বলেন, এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায়।গ্রামগঞ্জের মানুষজনকে ঠকানো হচ্ছে,এর পরিবর্তন চাই।পুলিশ বিষয়টি সজাক থাকলে এমন ঘটনা হত না। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃনাল সরকার বলেন,বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই জানতে পারলাম। ঘটনা যদি এমনটা হয় তাহলে খুবই খারাপ ব্যপার হয়েছে। প্রশাসনকে অবশ্যেই বিষয়টি দেখতে বলব।
জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন,পুলিশ এমন খেলার বিষয়টি যানে না বলে জানিয়েছে।একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে যদি সরষ্যের মধ্যে থাকে ভুত তাহলে এমন ঘটনা যে আগামী দিনেও আবারও ঘটবে সেবিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।

