হিলি সীমান্তে রহস্যঘেরা আটক! ভারত–সৌদি–জর্ডান জুড়ে বাংলাদেশী তরুণীর অবাধ যাতায়াত, প্রেম–বিয়ের আড়ালে জঙ্গি যোগের আশঙ্কা

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 

বালুরঘাট, ৯ সেপ্টেম্বর –—- ভারত, জর্ডান ও সৌদি আরবে অবাধ যাতায়াত! হিলিতে জঙ্গী সন্দেহে আটক বাংলাদেশী মহিলা।
উদ্ধার হল ভারত ও বাংলাদেশের পরিচয়পত্র, একাধিক সিমকার্ড। পুলিশের অনুমান, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ থাকতে পারে। সোমবার রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ওই মহিলার নাম রোজিনা খাতুন (২৭), বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পাচবিবির বাসিন্দা। বিএসএফ সূত্রে খবর, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে হিলি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ধৃত বাংলাদেশী মহিলাকে বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করে ছ’দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানায় হিলি থানার পুলিশ।

ধৃত যে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকেন রোজিনা। তারপর সৌদি আরবে গিয়ে একটি হাসপাতালে হাউসকিপিংয়ের কাজ নেন। সেখানেই আলাপ হয় মুর্শিদাবাদের এক যুবকের সঙ্গে। যে আলাপ থেকে প্রেম, প্রেম থেকে বিয়ে—এর মধ্যেই গড়ে ওঠে বিদেশযাত্রার অদ্ভুত এক অধ্যায়। রোজিনার আগেই বাংলাদেশে বিয়ে হয়েছিল, রয়েছে দুই সন্তানও। স্বামীর মৃত্যুর পর নতুন জীবনের সন্ধানে ভারত হয়ে পৌঁছে যান সৌদি আরব ও জর্ডানে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই স্বল্প সময়ে বিদেশে থেকে অস্বাভাবিক প্রভাব ও আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করেছিলেন তিনি।
জঙ্গি যোগের সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় ও বাংলাদেশি পরিচয়পত্র এবং একাধিক সক্রিয় সিমকার্ড। পুলিশের অনুমান, অবৈধ যাতায়াতের আড়ালে একাধিক দেশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রচিত হয়েছে।

ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ বলেন, “ভারত, সৌদি আরব ও জর্ডানে ওঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। প্রেমের সম্পর্ককে হাতিয়ার করে অল্প সময়ে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন, তা তদন্ত সাপেক্ষ। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ রয়েছে কিনা, সেটাই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

হিলি সীমান্তে ধৃত এই বাংলাদেশী মহিলাকে ঘিরে তোলপাড় এখন গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর। প্রেম–বিয়ে, বিদেশযাত্রা আর সীমান্তপেরনোর আড়ালে কী লুকিয়ে রয়েছে, তার উত্তর খুঁজতেই এখন মরিয়া পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *