হিলিতে রেলের জমি দিয়েও ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না কৃষকেরা! প্রতিবাদে জেলা শাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ জমিদাতাদের।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 

 বালুরঘাট, ৮ জানুয়ারী —— রেলের জন্য জমি দিয়েও মিলছে না ক্ষতিপূরণ! প্রতিবাদে জেলা শাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ কৃষকদের। সোমবার সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরে। বিক্ষোভকারী কৃষকদের অভিযোগ, হিলি-বালুরঘাট রেললাইন সম্প্রসারনে রেলদপ্তরকে জমি দিয়েছেন কৃষকেরা। যার মধ্যে ধলপাড়া অঞ্চলেরই কয়েকশো কৃষক তাদের জমি ও বসত বাড়ির জায়গা প্রায় ছমাস আগে তুলে দিয়েছেন রেলদপ্তরের হাতে। যার পরেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ, চলছে দীর্ঘ ছমাস ধরে প্রশাসনিক নানা টালবাহানা। আর এরই প্রতিবাদে এদিন কয়েকশো কৃষক হিলি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছুটে এসে জেলা শাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। দেওয়া হয় জমি মালিকদের তরফে একটি গণ অভিযোগ পত্রও। কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে তাদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তারা।

প্রসঙ্গত ২০১০ সালে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত নতুন রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল দক্ষিন দিনাজপুরে। যে প্রকল্পের জন্য ২০১৬ সাল থেকে একাধিকবার অর্থ বরাদ্দ হলেও রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ না করায় সেই টাকা ফেরত চলে যায় রেলদপ্তরে। ২০১৯ সালে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার জয়লাভ করবার পর সেই রেলপথ নির্মান নিয়ে সংসদে জোর সরব হন তিনি। যার তৎপরতায় ফের একবার হিলি-বালুরঘাট রেললাইন সম্প্রসারনে উদ্যোগী হয় রেলদপ্তর। যার পরিপ্রেক্ষিতেই ২০২১ সালে ফের হিলি-বালুরঘাট রেলপ্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে রেলদপ্তর। শুধু তাই নয়, নোটিফিকেশন জারী করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপ্রশাসন শুরু করে জমি অধিগ্রহণের কাজ। কৃষকদের কাছ থেকে সেই জমি নেওয়া হলেও অধিকাংশ জমির মালিকই আজ অবধি পান নি কোন টাকা। দীর্ঘ প্রায় ছ মাস ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হয়রান হয়ে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন জমিদাতারা। তাদের দাবি প্রশাসন অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ প্রদান করুক তাদের।

জমিদাতা সুশীল দাস, সঞ্জয় দাস ও সুজন ঘোষরা বলেন, রেলের জন্য জমি দেওয়ার পরেও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হয়রান হচ্ছেন তারা। অবিলম্বে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক এমন দাবিতেই এদিন জেলা শাসকের কাছে গণ অভিযোগ পত্র দিয়েছেন তারা।

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, টাকার কোন অভাব নেই। শরিকি সমস্যার কারণে অনেক জায়গায় কিছুটা জটিলতা রয়েছে। যেগুলি খুব ভালো করে খতিয়ে দেখে তাদের টাকা দেবার ব্যবস্থা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *