হিলিতে চাঁদা আদায় নিয়ে জুলুমবাজি! দূর্গা পূজার চাঁদা না দেওয়াই সরকারি কাজ আটকে দিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। লিখিত অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের দারস্থ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 

বালুরঘাট, ৪ সেপ্টেম্বর ———— চাঁদা আদায় নিয়ে জুলুমবাজি! হিলিতে দূর্গা পূজার চাঁদা না দেওয়ায় সরকারি কাজ আটকে দিল ক্লাব উদ্যোক্তারা। ক্ষতির মুখে পড়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার। সোমবার দুপুরে এই ঘটনা জানিয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা পরিষদের সেক্রেটারিকে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ঠিকাদার বিমল সরকার। এদিন যা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে। সরকারিভাবে ক্লাবগুলোকে পুজোর জন্য ইতিমধ্যে ৭০ হাজার টাকা করে দেবার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও দুর্গাপূজার চাদা নিয়ে সীমান্ত এলাকায় ক্লাব কর্তৃপক্ষের কেন এমন দাদাগিরি যা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন ? সরকারী উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দেবার পরেও পুলিশ প্রশাসনই বা কেন নিশ্চুপ তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ?

জানা যায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ থেকে ২০২২ সালে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হিলি ব্লকের পাঞ্জুল পঞ্চায়েত চত্বরে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বালুপাড়া এলাকার মানুষের সুবিধার্থে ওই মার্কেট কমপ্লেক্সটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা পরিষদ। তারই কয়েক মাস ধরে চলছিল নির্মাণ কাজ৷ রবিবার ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের প্রথম তলের ছাদ ঢালাই পর্ব চলছিল। অভিযোগ, সেখানে আচমকাই স্থানীয় ক্লাব সদস্যরা একত্রিত হয়ে ওই নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দেন। যা নিয়েই কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারের অভিযোগ, স্থানীয় দুটি ক্লাবের সদস্যরা তাদের দুর্গাপূজার জন্য ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। যা দিতে না পারায় তার কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে তারা। তার আরো অভিযোগ, ছাদের অর্ধেক অংশ ঢালায়ের পর ক্লাব কতৃপক্ষের এমন দাদাগিরিতে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখেও পড়েছেন তিনি। যা নিয়েই এদিন দুপুরে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ঠিকাদার সংস্থা। ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে লিখিতভাবে একটি অভিযোগও করেছেন সংস্থার কর্ণধার বিমল সরকার। অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আবেদনও করেছেন ওই ঠিকাদার।

কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার বিমল সরকার বলেন, অর্ধেক ছাদ ঢালার পরেই চাঁদার দাবিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সরকারি ওই কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে। যা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি তার ক্ষতির দিকটিও যেন প্রশাসনের তরফে দেখা হয় তারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় রায় বলেন, পঞ্চায়েত চত্বরে কাজ চললেও তাকে এবিষয়টি কেউই জানায়নি।

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, অভিযোগ পত্র হাতে পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *