দক্ষিণ দিনাজপুর।টেন্ডার নিয়ে তৃণমূলের দুপক্ষের ঝামেলায় জেরে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ও প্রকল্পের কাজ পাওয়া ঠিকাদার মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ও তার ছেলের নামে কাঠমানি চেয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের বৈরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলের নামে ঠিকাদারের কাছে কাঠমানির টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার ও হরিরামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি হাতেম আলী ইতিমধ্যেই উপপ্রধান আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলের জন্যই পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কাজ থমকে রয়েছে বলে অভিযোগ করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।যদিও মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের উপপ্রধান আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলের তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছে হরিরামপুর থানার পুলিশ। সোমবার বিকেলে পঞ্চায়েতের টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পঞ্চায়েত এলাকা।মঙ্গলবার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রোহিণী দেবশর্মা ও পঞ্চায়েত কাজে প্রকল্পের কাজ পাওয়া ঠিকাদার এনামুল ইসলাম সোমবারের ঘটনা নিয়ে বৌরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলের নামে অভিযোগ করে বলেন,টেন্ডার নিয়েই বিবাদের জেরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বনাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তার ছেলেদের মধ্যে গোলমালে পঞ্চায়েত চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ।সোমবার বিকেলে হরিরামপুর ব্লকের বৈরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েত সামনের ঘটনা নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিতেই পিস্তল বের করে একপক্ষের লোকজন। যদিও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনায় চরম গনধোলাই খেয়েছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে তৃণমূলের অপরগোষ্ঠীর প্রধান ও অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি লোকজনদের হাতে। বরহাটটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রোহিণী দেবশর্মা অভিযোগ করে বলেন ,পঞ্চায়েতে তৃণমূলের উপপ্রধান আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে প্রতিটি পঞ্চায়েতে টেন্ডারের কাজে টাকা পয়সা দাবি করেন ঠিকাদারের কাছে।সেই ঘটনা নিয়েই বিবাদ শুরু হয়।পঞ্চায়েতের উন্নয়ন বন্ধ আছে একমাত্র উপপ্রধান ও তার ছেলের কারনেই।যে ঘটনা নিয়ে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। সোমবার বিকেলে হরিরামপুর ব্লকের বৈরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য অর্থের মিটিং ডাকা হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে।সেখানেই মিটিং শুরুতেই টেন্ডারের বিষয়টি নিয়ে প্রধান এবং উপপ্রধানের লোকজনদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। উপপ্রধানের গোষ্ঠী ও তাঁর ছেলের সঙ্গে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গোষ্ঠীর লোকজন হাজির হয়েছিলেন সেই পঞ্চায়েতের সামনেই বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই অর্থের মিটিং নিয়ে প্রথমে প্রধান ও প্রকল্পের কাজ পাওয়া ঠিকাদার মমিনুল ইসলামের সঙ্গে উপপ্রধান ও তার ছেলের লোকজনদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ,এরপর বচসা শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।প্রথমে হাতাহাতি এরপর লাঠি সোটা নিয়ে বৈরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ আব্দুল রাজ্জাক ও জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল তৃণমূলে সভাপতি আমিনুল ইসলামের মধ্যে একে অপরের উপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজনেরা বলে অভিযোগ। অভিযোগ,সেই সময় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আমিনুল ইসলামের লোকজন বোরহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান বিপ্লব ঘনিষ্ঠ আব্দুল রাজ্জাকে মারধর করতে থাকে

