বালুরঘাট, ১৬ নভেম্বর ——— দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী বোল্লা পুজোকে ঘিরে ভক্তদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার উদ্যোগ নিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। পুজোর ভিড়ে শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগজনিত সমস্যার কথা মাথায় রেখে এ বছর অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের। শনিবার এলাকা পরিদর্শনে এসে এই উদ্যোগের কথা জানালেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুদীপ দাস। তিনি বলেন, পুজোর তিন দিন একটি অস্থায়ী হাসপাতাল চালু থাকবে বোল্লায়। যেখানে আপাতত দুটি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে বেডের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। এছাড়া শিফট অনুযায়ী এলাকায় থাকবে মেডিকেল ক্যাম্প। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হবে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি মেলার দোকানগুলিতে খাদ্যের মান বজায় রাখতে ফুড সেফটি দফতরের একটি বিশেষ দল কাজ করবে এলাকায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া স্যানিটেশন বজায় রাখতে পুজো প্রাঙ্গণ ও আশপাশে কীটনাশক স্প্রে করা হবে। প্রশাসন এবং পুজো কমিটির যৌথ উদ্যোগেই এসব পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে এবারের বোল্লা মেলায়।
প্রাচীন রীতি অনুযায়ী রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার অর্থাৎ ২২ নভেম্বর বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে পুজিত হবে সাড়ে সাত হাত উচ্চতার বিশালাকার প্রতিমা। যাকে ঘিরে বসবে তিনদিনের বিরাট মেলাও। যা উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎতর মেলা বলেই পরিচিত। দেবীর যে মাহাত্ম্যেই জেলা ও রাজ্য ছাড়িয়ে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে এই বোল্লা পুজোয়। যাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেই একাধিক জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। যা নিয়ে পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ভক্তদের যেন কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সঙ্গে তারা নিয়মিত সমন্বয় রেখে চলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এই বিশেষ উদ্যোগ ভক্তদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বোল্লা পুজোর ঐতিহ্য এবং ভক্তদের বিশ্বাসের সঙ্গে এবার স্বাস্থ্য পরিষেবার এই নতুন সংযোজন আরও প্রশংসনীয় হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বোল্লা পুজো কমিটির ম্যানেজার মানস রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ভক্তদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা।

