স্ত্রীকে ফেরাতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসলো জামাই! উত্তেজনা তপনের তিলনে

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

স্ত্রীকে ফেরাতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসলো জামাই! উত্তেজনা তপনের তিলনে

বালুরঘাট, ১৯ সেপ্টেম্বর ——- স্ত্রীকে ফেরাতে শ্বশুড়বাড়িতে ধর্নায় বসলো জামাই। হাতে পোস্টার, সামনে বিয়ের ছবি আর কণ্ঠে আর্তি— “আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দাও”। শুক্রবার দুপুর থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তপনের তিলন অর্জুনপুর এলাকায়। জামাই সমীর হেমব্রমের দাবি, আমরা সাবালক। উভয়ে আলোচনা করেই প্রথমে রেজিস্ট্রি এবং তারপরে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।

প্রেমকাহিনি শুরু প্রায় পাঁচ বছর আগে। ফেসবুকেই আলাপ তিলনের অর্জুনপুরের বাসিন্দা ইষান কিস্কুর মেয়ের সাথে গঙ্গারামপুরের কাটাবাড়ির অনন্তপুরের বাসিন্দা সমীর হেমব্রমের। যে আলাপ গড়ায় প্রেমে, প্রেম শেষে সিদ্ধান্ত— বিয়ে। গত ২২ অগস্ট প্রথমে রেজিস্ট্রি, পরে হিন্দু রীতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তারা। সমীরের দাবি, দু’জনেই সাবালক, তাই আইনি জটিলতা নেই।

কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হয় বিয়ের পরেই। অভিযোগ, বিয়ের খবর জানাজানি হতেই মেয়েকে ডেকে এনে আটকে ফেলে পরিবার। বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ফোন, ছিন্ন করা হয় সমস্ত যোগাযোগ। এদিকে স্ত্রীর খোঁজে ব্যাকুল সমীর এরপর আর কোনও রাস্তা না পেয়ে বেছে নেন প্রতিবাদের চরম পথ।শুক্রবার দুপুরে তিলনের অর্জুনপুরে শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে পড়েন ধর্নায়। হাতে পোস্টার— “আমার স্ত্রী আমাকে ফিরিয়ে দাও”। সঙ্গে বিয়ের ছবি যেন প্রমাণের সীলমোহর। দাবি তার স্পষ্ট— স্ত্রীকে ফেরাতেই হবে, না হলে তিনি উঠবেন না ধর্না থেকে।

এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকায়। কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ঘটনাস্থলে। কেউ সমীরের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, কেউ আবার পরিবারের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করছেন। তবে প্রশ্ন একটাই— দুই প্রাপ্তবয়স্কর ইচ্ছের সামনে কি টিকবে পরিবারের অস্বীকৃতি?

এদিকে গ্রামময় এই কাহিনি পৌঁছে গিয়েছে প্রশাসনের কানে। পুলিশের হস্তক্ষেপ হবে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। সমীরের মরিয়া লড়াইয়ের পরিণতি কী হয়, এখন তাকিয়ে রয়েছে গোটা অর্জুনপুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *