বালুরঘাট, ২৯ আগস্ট:——–— সুকান্তর দত্তক নেওয়া গ্রাম নিয়ে প্রকাশ্য সভায় ভুল তথ্য পরিবেশন অভিষেকের। টুইট করে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। সোমবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, একজন সর্বভারতীয় সম্পাদকের কাছেই সঠিক তথ্য নেই। তাহলে রাজ্য চালাবেন কি করে ? পিসি না থাকলে অনাথ হয়ে যাবেন, অভিষেককে এমন কটাক্ষও করেছেন সুকান্ত মজুমদার। যা নিয়ে এদিন একটি টুইটও করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রামটিকে দত্তক নেন এই কেন্দ্রের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পরেই গ্রামটি দত্তক নেন তিনি। যে গ্রামে ইতিমধ্যে একাধিক কাজও করেছেন সুকান্ত মজুমদার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসাবে গোটা গ্রামে সোলার লাইট লাগানো।এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বালুরঘাট ব্লকের ওই চকরামপ্রসাদ গ্রাম সংসদ থেকেই বিজেপি প্রার্থী অমলি হাঁসদা জয়ী হয়েছেন। ব্লক প্রশাসনের তরফে জয়ী সার্টিফিকেটও প্রদান করেছেন। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত সমিতির আসনের পাশাপাশি ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান দুটো জায়গায় দখল করেন।
উল্লেখ্য, গতবার চকরাম গ্রাম সংসদ বা বুথের অধীনে ছিল চকরামপ্রসাদ গ্রামটি। গতবার চকরাম গ্রাম সংসদটি বিজেপির অধীনে ছিল। বিজেপির মেম্বার ছিলেন মামনি বর্মন। এবারের নির্বাচনে চকরাম বুথ ভেঙে দুটি বুথ হয়। একটি চকরাম এবং অন্যটি চকরামপ্রসাদ। দুটি আলাদা আলাদা সংসদ হয়। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই চকরাম গ্রামটি বিজেপি দখল করতে পারেনি৷ যে বুথে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তবে সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরামপ্রসাদ গ্রাম সাংসদটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী অমলি হাঁসদা। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্ত মজুমদারের সেই দত্তক নেওয়া গ্রামের হেরে যাওয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যে বলেই দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
অমলি হাঁসদা বলেন বিজেপি প্রার্থী হয়েই চকরামপ্রসাদ থেকে তিনি জয়ী হয়েছেন।
সুবিমল হেমরম ও মনিকা দেবনাথরা বলেন, সঠিক তথ্য নিয়ে কথা বলা উচিত সকলের। চকরামপ্রসাদ গ্রামটি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া। সেই গ্রামের সব স্তরেই বিজেপি জয়ী হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, একজন সর্বভারতীয় সম্পাদকের কাছে সঠিক তথ্য নেই। তাহলে তিনি রাজ্য চালাবেন কি করে। পিসি না থাকলে অনাথ হয়ে যাবেন।
তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, সঠিক কথাই বলেছেন সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। চকরাম গ্রামটি দুভাগে ভাগ হয়েছে। একটির দখল গতবার বিজেপির থাকলেও সেখানে হেরে গিয়েছে বিজেপি।

