মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ শহরের মনিবাগ প্রতিবাদ ক্লাবের মাঠ থেকে থানা ঘেরাও করবার উদ্দেশ্য নিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরের রায়গঞ্জ বালুরঘাট রাজ্য সড়কের পাশে থানায় ব্যাপক জমায়েত হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা কালিয়া গঞ্জ থানার সামনে মিছিল নিয়ে হাজির হয়েই ব্যারিকেড ভেঙে থানার মধ্যে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিনতু পুলিশের বাধা কোনভাবেই বিক্ষোভ কারীরা মানতে চায়না।এর পর পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হলেও পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীরা প্রচুর সমর্থকদের থানার সামনে আনার পর থানার মধ্যে প্রবেশের জোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধ্য হযে কাদনে গ্যাস প্রয়োগ করে।কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ কারীদের কোন ভাবেই দমানো যায়না।বিক্ষোভকারীরা রীতিমত পুলিশের দিকে ধেয়ে গিয়ে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ কোন উপায় না দেখে নিরুপায় হয়ে হয়ে জল কামান প্রয়োগ করতে থাকে ।আদিবাসীদের ইটপাটকেল ছোড়ার ফলে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকরা আহত হয় ঠিক তেমনি ভাবেই ৫থেকে ৬ জন পুলিশ আহত হয় বলে জানা যায়।কালিয়াগঞ্জ শহরে বিগত দিন রাজবংশী কামতাপুরি ও আদিবাসীদের এমন সংগঠিত বিক্ষোভ পুলিশের বিরুদ্ধে দেখেনি কালিয়াগঞ্জের মানুষ বলে জানা যায়। আজকের এই পরিস্থিতি এতটা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে বিক্ষোভকারীরা শেষ পর্যন্ত থানা আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের খন্ড যুদ্ধে একেবারে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রচুর পুলিশ ও কম্বেট ফোর্স মোতায়েন থাকলেও বিক্ষোভকারীরা সেই ব্যারিগেট কে ভেঙে দিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করে। এই ঘটনার জেরে চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শহরে প্রতিটি দোকান প্রায় বন্ধ। এই মুহূর্তে সারা শহর টহল দিচ্ছে জেলা পুলিশ সুপার সানা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী।

