সরকারি দুর্গাপুজো অনুদানের টাকার চেক বাউন্স হল গঙ্গারামপুরের পূজা উদ্যোক্তাদের

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

সরকারি দুর্গাপুজো অনুদানের টাকার চেক বাউন্স হল গঙ্গারামপুরের পূজা উদ্যোক্তাদের শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৯ শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামত দুর্গাপুজো কমিটিকে অনুদানের সরকারি ১লক্ষ ১০হাজার টাকার বহু চেক বাউন্ড হবার অভিযোগ উঠেছে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লক ও পুরসভা মিলিয়ে যে ৯০টি অনুমোদনপ্রাপ্ত দুর্গাপূজা কমিটির উদ্যোক্তাদের হাতে কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠান করে মন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ),মহকুমা পুলিশ আধিকারিক,থানার আইসিদের মাধ্যমে সেই চেক বিলি করা হয়।পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা ৬সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজো অনুদানের চেক পাওয়ার পরে ৯ই সেপ্টেম্বর কেউ আবার ১০ই সেপ্টেম্বর চেকের টাকা পাশ করানোর জন্য তাদের ব্যাংকে সেই চেক জমাও করেন। গঙ্গারামপুরের দুর্গাপুজো কমিটি উদ্যোক্তাদের দাবি, ব্যাংক থেকে শুক্রবার সকালে দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের ফোন করে জানানো হয় যে, আপনার যে চেক জমা করেছিলেন অনুদানের টাকার চেকটি ফেরত নিয়ে যাবেন চেকে সমস্যা রয়েছে।এমনকি ২৬০টাকা পেনাল্টি হিসেবে আপনাদের একাউন্ট থেকে কেটেও নেওয়া হয়েছে।এমন বিষয়টি জানার পরেই থানার মাধ্যমে তৈরি করা whatsapp গ্রুপে বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা গঙ্গারামপুর থানা প্রশাসনকে জানাতে থাকেন। থানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার অফিসের এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন।সূত্রে জানা গেছে,গঙ্গারামপুর ব্লক ও পুরসভা মিলিয়ে ৯০টি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত দুর্গাপুজো কমিটি আধিকারিকদের হাতে সরকারি ১লক্ষ ১০হাজার টাকার চেক দিয়েছিল তার মধ্যে পাই ৭৬টি চেক বাউন্স হয়েছে বলে বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক ও ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ম্যানেজারেরা বলেন,” আমাদের ব্যাংক থেকে স্টেটব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় ওই চেক পাঠানো হয়েছিল টাকা ক্যাশ করার জন্য। তারা চেক ঠিক নেই বলে পুনরায় ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে আমাদের ব্যাংকে।ব্যাংকের চার্জ বাবদ আমরা ২৬০টাকা কেটেও নিয়েছি।এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।” গঙ্গারামপুরের জ্যোতি বসু রোড এলাকার একটি পুজো কমিটির নেত্রী,কেশবপুরের দুর্গাপূজা কমিটির এক অন্যতম সদস্য,পূর্ব হালদারপাড়া দুর্গাপূজা কমিটির এক মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক হয়ে তারা জানিয়েছেন,”ব্যাংক থেকে ফোন এসেছিল অনুদানের চেকে টাকা নেই। ২৬০টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।জেলা পুলিশ সুপার অফিসে আমাদের দেখা করার কথা বলেছে আমরা সেখানে যাব। আমরা চাই এসমস্যার সমাধানও হোক।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,সরকারি দূর্গাপূজা অনুদানের ওই সমস্ত চেকগুলি ট্রেজারি অথরিটি দক্ষিণ দিনাজপুর বিভাগ থেকে পাশ করানো হয়েছে। যার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জেলা ট্রেজারি আধিকারিক। এবিষয়ে জেলা ট্রেজারি আধিকারিক ও জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণাকে চেকের এমন সমস্যা তৈরি হল তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা দুজনই এবিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।” গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন,”চেক বিলি করা নির্দেশ এসেছিল জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে তা কথা সময়ে বিলি করেছি।এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না কি কারনে কি হয়েছে।” রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও জেলা তৃণমূল মিডিয়া কনভেনর তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত কুমার দাস বলেন,”কোন সমস্যা হয়েছে , আশা রাখছি দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *