সমাজে তাদের অন্য নজরে দেখা হয়। তবে দুর্গা পূজাতে তাদের এখানকার মাটি র অতি প্রয়োজন

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

কোচবিহার:—— তবে পূজার তিন দিন ছাড়াও মেতে উঠে দুর্গা পূজার উৎসবে । কোচবিহার নিষিদ্ধ পল্লীর যৌনকর্মীরা কত বছরই সারা বছর থেকে সময় বের করে তারা দুর্গাপূজার আয়োজন করে । এবার কোচবিহারের যৌনকর্মীরা তাদের পূজার মধ্য দিয়ে নারী নির্যাতনের গর্জে উঠছেন । এ বছর দুর্গাপূজো আর জি কর কানটা থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে। কোচবিহার শহরের 6 নম্বর ওয়ার্ডের প্রিয়গঞ্জ কলোনি যৌনকর্মীদের এ বছর 68 তম দুর্গাপূজা । জোর কদমে চলছে পূজার প্রস্তুতির কাজ । প্রতি বছর তাদের পূজায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয় । এ বছর তারা নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ব্যানার পোস্টার লাগানো হবে । যৌনকর্মীদের দাবি কাদম্বিনী বিচার চায় ।
কোচবিহারে প্রিয়গঞ্জ কলোনি কালিবাড়ি ইউনিটের স্থায়ী মন্দিরে যার জমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা হয় । মূলত সেখানকার যৌন কর্মীরা ও স্থায়ী বাসিন্দারা দুর্গাপূজার আয়োজন করে থাকে । তবে এ বছর স্থায়ী মন্দিরের পূজার পাশাপাশি তারা একটি কাল্পনিক মন্দির তৈরি করবার চিন্তা ভাবনা নিয়েছেন। কাল্পনিক মন্দির নির্মাণের কাজও চলছে জোর কদমে । তবে বাইরের কোন শিল্পী দিয়ে এই মন্দিরের কাজ করা হচ্ছে না। যৌনকর্মীদের চিন্তা ভাবনাতেই ফুটে উঠছে এই কাল্পনিক মন্দির। মন্দির তৈরির কাজ করছে স্থানীয় একটি যৌন কর্মীর ছেলে । মন্দিরে প্রতিমা তৈরি পাশাপাশি বাঁশ গাছের ডাল প্লাইউড কাপড় দিয়ে কাল্পনিক মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে । মন্দিরের দুটি প্রতিমা আয়োজন করা হচ্ছে একটিতে পূজা হবে অন্য একটি প্রদর্শনের জন্য থাকবে । তাদের পূজার বাজেট প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা ।
নিয়ম নিষ্ঠা মেনে প্রতিবছর পূজা হয়ে থাকে । পূজার পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্ম অংশগ্রহণ করেন যৌনকর্মীরা । বস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় অনুদান দেন । সমাজের যাদের অন্যভাবে ব্যবহার তারা দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চারটে দিন কাটান অন্যান্য মানুষদের মত করে । পূজার দিনগুলোতে প্রসাদ বিতরণ করা হয় ।
তাদের কথায় একটা শ্রেণীর মানুষ তাদের অন্যভাবে দেখলে ও পূজার দিনগুলোতে তাদের পূজা দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড়ে হয় । আর এই চারটি দিন তারা আনন্দের সাথে কাটান । তাই সমাজ অন্যভাবে দেখলে তারাও দুর্গাপূজায় মেতে উঠবেন এবার ও জানাবেন আর জী করের ঘটনার প্রতিবাদ ।
স্থানীয় কাউন্সিলরের কথা তারা শুধু পূজাতে থেমে থাকেন না তারা বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্ম করেন। অন্যান্য পূজার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় । বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছে এখানকার পূজা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *