জলপাইগুড়ি:-
শুক্রবার রাতে গজলডোবা সংলগ্ন টাকিমারির ধুপগুড়ি বস্তিতে বিদ্যুতের মারণ ছোবলে মৃত্যু হয়েছিলো একই পরিবারের চারজনের। সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। শনিবার সকালে তিনি জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের টাকিমারি এলাকার ধুপগুড়ি বস্তিতে যান। তার সঙ্গে ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, জলপাইগুড়ির মহুকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
দিনকয়েক থেকে লাগাতার বৃস্টির জেরে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত জলপাইগুড়িতে। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হওয়ার শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, টাকিমারি এলাকায় প্রায়ই হাতির আনাগোনা চলে। সেই হাতির হানা থেকে বাঁচতে এলাকার ওপর দিয়ে যাওয়া হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎতের তার থেকে হুকিং করে বাড়ির বেড়াতে এবং গোয়াল ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ করে রেখেছিলেন মৃত পরেশ দাস। শুক্রবার রাতে কোনোভাবে সেই তার ছিড়ে বৃস্টিভেজা মাটিতে পড়ে যায়। যা কেউ খেয়াল করেননি। শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ সেই তারে প্রথমে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয় একটি গরু। সেই গরুকে বাচাতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন পরেশ দাস নামে ওই বাড়ি মালিক । তার চিৎকার শুনে স্ত্রী দিপালী দাস এবং ছেলে মিঠুন দাস ছুটে এলে তারাও বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয় সুমন দাস নামে ওই পরিবারের এক শিশুও। চারজনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের, ভোরের আলো থানার পুলিশ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিশ। মৃত ব্যক্তিদের নাম যথাক্রমে পরেশ দাস(৬০) মিঠুন দাস(৩২) দিপালী দাস(৫৫) ও সুব্রত অধিকারী(২.৬)।ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়। রাতেই ওই বাড়িতে যান রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। শনিবার সকালে বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। গৌতম দেব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের নির্দেশে তিনি ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। আজ উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের পর চারজনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিনও এলাকার পরিবেশ ছিলো থমথমে।
তবে এই শোকার্ত পরিবেশে অবৈধভাবে বিদ্যুতের হুকিং এর বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি গৌতম দেব৷ তবে সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির তরফে ওই এলাকায় এরকম অবৈধ বৈদ্যুতিক হুকিং আরও আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।
ভিস বাইট👇

