লালনের মৃত্যুর তদন্তভার নিল সিআইডি

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য
অফিসাররা রামপুরহাটে সিবিআই ক্যাম্পে আসেন। কিন্তু সেখানে সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিকের দেখা তাঁরা পাননি। কারণ, এদিন ভোরেই সিবিআই অফিসাররা বগটুইয়ে উপপ্রধান খুন ও অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের নথি নিয়ে কলকাতায় চলে যান বলে সূত্রের খবর। এদিন সন্ধ্যায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা সিবিআই ক্যাম্পের বাথরুম ও শাওয়ার থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। লালনের মৃত্যুর সময় ক্যাম্পে উপস্থিত সিবিআইয়ের অফিসার ও নিরাপত্তা কর্মীদের নাম সংগ্রহ করছে সিআইডি। অফিসারদের কললিস্টও খতিয়ে দেখবে। এদিন ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে সিআইডির আইজি বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।
এদিন লালনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তকারী অফিসার আব্দুল এহেসান ও রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র গেস্টহাউসে গিয়ে সিআইডি অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তদন্তভার নেয় সিআইডি। তারপরে তাঁরা সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে যান। ক্যাম্প চত্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকলেও ভিতরে সিবিআইয়ের কোনও অফিসার ছিলেন না। যে বাথরুমে লালনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেটি তাঁরা দেখেন। কিন্তু সিবিআইয়ের কোনও অফিসার না থাকায় তাঁরা অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে পুলিস গেস্টহাউসে ফিরে যান।
সিআইডি সূত্রের খবর, মৃতের স্ত্রী রেশমা বিবির দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, রবিবার বেলা ১২টার মধ্যে হার্ডডিস্ক পাওয়া না গেলে লালনকে আর পাওয়া যাবে না বলে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন সিবিআই কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডল। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি ভিলাস বি মাবুগুটও ফোন করে হার্ডডিস্ক চেয়েছিলেন। সেই দাবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তাঁদের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হবে। সেইসঙ্গে ঘটনার সময় সিবিআই ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কারা সেখানে ছিলেন, তার তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে। যে শাওয়ারের সঙ্গে গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় লালনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেটার ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
লালনকে খুন করা হয়েছে, নাকি সে আত্মহত্যা করেছে, তা তদন্ত সাপেক্ষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর কিছুটা পরিষ্কার হবে। এদিন সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সিল করা খামে সিআইডির হাতে তুলে দেন রামপুরহাট থানার তদন্তকারী অফিসার। পুলিস সূত্রের খবর, ঝোলার ফলে গলায় ফাঁসের দাগ আছে। তবে দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিনই সন্ধ্যায় সিবিআই ক্যাম্পে আসে পাঁচ সদস্যের ফরেন্সিক টিম। টিমের সদস্যরা শাওয়ারে থাকা হাতের ছাপ সহ বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করেন।
এদিন রামপুরহাট আদালতে গিয়ে ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার কথা জানায় সিআইডি। সিআইডি তদন্তভার নেওয়ায় খুশি মৃত লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তিনি বলেন, সিবিআই অফিসাররা আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। সিআইডি তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *