২২ জন প্রাথমিক শিক্ষক এদিন এসআই অফিসে তাদের শোকজের জবাব দেন। শোকজ করার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ প্রাথমিক শিক্ষকদের। ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ কর্মবিরতি পালিত হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের। সেই কর্ম বিরতি পালন করায় শোকজের মুখে পড়তে হয়েছে বংশীহারী সার্কেলের প্রাথমিক শিক্ষকদের। এবার সেই শিক্ষকরা একে অপরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে শোকজের জবাব দিতে বংশীহারী এস আই অফিসে গেলেন। বংশীহারী সার্কেলের ২২ জন প্রাথমিক শিক্ষক এদিন এসআই অফিসে তাদের শোকজের জবাব দেন। শিক্ষকদের দাবি, ধর্মঘট করার অধিকার প্রত্যেক সরকারি কর্মচারির আছে সেটি সংবিধানেই বলা রয়েছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কথাতে পশ্চিমবঙ্গ সব দিক থেকেই এগিয়ে। কিন্তু ডিএর ক্ষেত্রে সব থাকে পিছিয়ে কেনো বলে প্রশ্ন করেছেন শিক্ষকরা। এই মুহূর্তে ৩৬ শতাংশ ডিএ বাকি রয়েছে তার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সংখ্যা গরিষ্ঠ শিক্ষকরা এই ধর্মঘটে সামল হয়েছিল ও পাওনা ডিএ-র দবিতে সমর্থন করেন। কিন্তু শিক্ষকরা জানিয়েছেন সরকার অন্যায় ভাবে সরকারি কর্মচারীদের এক দিনের বেতন কাটা বা (বেকিং সার্ভিস ) করার ঘোষণা করায় তার বিরুদ্ধে সমবেত ভাবে উত্তর দিলেন এসআই অফিসে।
বংশীহারী এসআই অফিসে জবাব দিতে আসা এ বি টি এ বংশীহারী সার্কেল কমিটির সভাপতি তথা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জয়ন্ত মন্ডল ও হাটপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পান্ডব চন্দ্র সরকার বলেন, ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ কর্মবিরতি পালিত হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের। সেই কর্ম বিরতি পালন করায় শোকজের মুখে পড়তে হয়েছে। আমরা তাই আমরা উৎসাহের সঙ্গে মিষ্টি মুখ করিয়ে শোকজের জবাব দিতে এসেছি। এর মাধ্যমে আমরা সরকারকে বার্তা দিতে চাই, ধমকে, চমকে আমাদের রোখা যাবে না। বকেয়া ডিএ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।

