রাইস মিলে বড়সড়ো দুর্নীতির পর্দাফাঁস।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

মালদা,১২অক্টোবর: ————————–রাইস মিলে বড়সড়ো দুর্নীতির পর্দাফাঁস। একদিকে সরকারের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান নিয়ে চাল না দেওয়ার অভিযোগ। অন্যদিকে পূর্বের অংশীদারীদের সই জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি। সিল করে দেওয়া হয়েছে রাইস মিল। পলাতক অভিযুক্তরা। মিলের বাইরে ব্যাংকের নোটিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সাথে বিরোধীদের দাবি সরকারের ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্রে যে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে তা এই ঘটনায় প্রমাণ করে দিল। অভিযুক্তদের পেছনে তৃণমূলের মদত ছিল। তাই অভিযুক্তরা এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্থানীয় থানা কে তৃণমূলের পার্টি অফিস বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।যদিও তৃণমূলের পাল্টা সাফাই আইন আইনের পথে চলছে।ফের খবরের শিরোনামে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা এলাকার বাঁকে বিহারী রাইস মিল।এই মিলের মালিকানায় ছিলেন কিরণ দেবী আগরওয়ালা, সঙ্গীতা আগরওয়ালা এবং শীতল মোদী। ২০১৬ সালে কিরণ দেবী এবং সংগীতা আগরওয়াল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিলের অংশীদারী ছেড়ে দেন। শীতল মোদির স্বামী অজয় মোদি এবং দেওর বিজয় মোদী ওরফে বাবলু মোদি এই মিল দেখভাল করতেন।সরকারি ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে তারা ৪ কোটি টাকার ধান কেনেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সেই অনুপাতে চাল দেননি সরকারকে।সরকারের ধান থেকে তৈরি চাল বিক্রি করে দিয়েছেন বাইরে। বিগত কয়েক মাস আগে সেই ঘটনা সামনে আসে।সেই সময় কিরণ দেবী আগরওয়াল অভিযোগ করেন সরকারের কাছ থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে তাদের সই জালিয়াতি করা হয়েছে। খাদ্য দপ্তর কেও এই নিয়ে অভিযোগ জানান। যদিও দপ্তর থেকে সেই সময় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।সই জালিয়াতি করার মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম উঠে আসে শীতল মোদির দেওর বিজয় ওরফে বাবলু মোদির। এই মুহূর্তে শীতল মোদী,তার স্বামী এবং দেওরের নামে দুইটি অভিযোগ। একদিকে ধান কিনে চাল না দিয়ে সরকারের সাথে প্রতারণা। অন্যদিকে সই জালিয়াতির। যদিও এই অভিযুক্ত তিনজন এখনো গ্রেপ্তার হননি। পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। বাঁকে বিহারী রাইস মিল এই মুহূর্তে সিল রয়েছে। আবার একটি ব্যাংক থেকে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে মিলের সামনে। মিলের মালিকরা মিল দেখিয়ে ৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন।সেই লোন আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ না হলে মিল নিলামে উঠবে। এদিকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।এই দুর্নীতির পেছনে তৃণমূল নেতাদের মদত এবং যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। পুলিশের ভূমিকায় উঠেছে প্রশ্ন।সাথে ধান ক্রয় কেন্দ্রে যে ফোরেদের মদতে দুর্নীতি হয় তাও প্রকাশ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *