মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় গতবছর যে সরার দাম ১০ টাকা ছিল এ বছর সেটার দাম ১৫ টাকা। পিঠেপুলির বানাতে এই সরা অপরিহার্য। উত্তর দিনাজপুর: দোরগোড়ায় পৌষ সংক্রান্তি। আর কিছুদিন পর থেকেই ঘরে ঘরে চলবে পিঠেপুলির সমারোহ। পৌষ সংক্রান্তির দিন সন্ধে হতেই গৃহস্থ বাড়িতে ধুম পড়ে যায় এই পিঠেপুলি বানানোর কাজে। পাটি সাপটা থেকে শুরু করে পুলিপিঠে, খোলা পিঠে, চিতই পিঠে সহ হরেক ধরনের পিঠে বানাতে প্রয়োজন মাটির তৈরি সরার। মাটির সরা ছাড়া যেন এই পিঠে পুলির স্বাদ ফিকে। এটি তৈরি করতে এখন দিনরাত ব্যস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার মুস্তাফানগরের মৃত্ শিল্পীরা। শীতের শৈত্য প্রবাহকে উপেক্ষা করে এঁটেল মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো জল মিশিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সেই মাটিকে মাখিয়ে সরা তৈরির উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর নরম মাটিকে সাঁচে ফেলে বিভিন্ন আকৃতির সরা তৈরি করা হয়। প্রতিটি সরার জন্য একটি করে মাটির ঢাকনাও তৈরি করেন মৃত্শিল্পীরা। তারপর সেগুলিকে একটি একটি করে বাছাই করে তা পাইকারি ও খুচরো হিসেবে বিক্রি করা হয়। আকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের সরা সহ ঢাকনার দামও বিভিন্ন রকম হয়। মৃত্ শিল্পী আনন্দ পাল জানান প্রতিবছর পৌষ পার্বণে তারা ১০ থেকে ১২ রকম পিঠে তৈরীর সরা তৈরি করে থাকেন। এ পিঠে তৈরির সরার একটি একটি এর দাম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পিস হিসেবে এবছর বিক্রি করা হচ্ছে। মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় গতবছর যে সরার দাম ১০ টাকা ছিল এ বছর সেটার দাম ১৫ টাকা ও যে সরার দাম ১৫ টাকা ছিল সেটা ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

