বালুরঘাট, ২৮ জুন :—–— ভুয়ো ক্রেডেনশিয়াল দাখিল করে পথশ্রী প্রকল্পে কাজ করার অভিযোগ ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ দায়ের জেলা শাসককে। ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন দক্ষিণ দিনাজপুরে। মা বোল্লা কালী এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। যা নিয়ে তিস্তা কনস্ট্রাকশন নামে অপর এক ঠিকাদার সংস্থা দ্বারস্থ হয়েছেন জেলা প্রশাসনের। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৯ তারিখে মা বোল্লা কালী এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে ভুয়ো ক্রেডেনশিয়াল দাখিল করে কাজ করার অভিযোগ তোলে তিস্তা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদার সংস্থা। যা নিয়ে জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগও করেন তারা। তাদের অভিযোগ, তপনের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঘইট এলাকায় প্রায় ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দে পথশ্রী প্রকল্পের একটি কাজ পায় মা বোল্লা কালী এন্টারপ্রাইজ নামে ওই ঠিকাদার সংস্থাটি। যে ঠিকাদার সংস্থার সমস্ত ক্রেডেনশিয়াল ভুয়ো রয়েছে এমনই মারাত্মক অভিযোগ তোলে তিস্তা কনস্ট্রাকশন। যা নিয়েই জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই ঠিকাদার সংস্থা। যদিও তিস্তা কনস্ট্রাকশনের তোলা অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন মা বোল্লা কালী এন্টারপ্রাইজ সংস্থার কর্নধার উত্তম কুমার দেবনাথ। এদিকে এই অভিযোগ হাতে পেতেই কড়া হুশিয়ার দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। তিনি বলেন, ভুয়ো ক্রেডেনশিয়ালের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ঠিকাদার সংস্থাকে ব্ল্যাকলিস্ট করার পাশাপাশি তার কর্নধারের বিরুদ্ধেও এফ আয়েরও দায়ের হবে প্রশাসনের তরফে।
তিস্তা কনস্ট্রাকশনের কর্ণধার সমীর দাস বলেন, মা বোল্লা কালী এন্টারপ্রাইজ নামে ওই ঠিকাদার সংস্থার ভুয়ো ক্রেডেনশিয়াল দেখিয়ে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ করছেন। যা সম্পুর্ন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে। আর এরই প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করুক ওই ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে।
মা বোল্লা কালী এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার উত্তম কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। উপযুক্ত কাগজপত্র দাখিল করেই কাজটি করছেন তিনি।
জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ তারা হাতে পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ফেক ক্রেডেনশিয়ালের বিষয় প্রমানিত হলে ওই ঠিকাদার সংস্থার ব্ল্যাকলিস্টেড হবে। কাজের কোন বিল না পাবার পাশাপাশি তার কর্ণধারের বিরুদ্ধে এফ আয়েরও দায়ের হবে।

