ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ অনুমোদিত গঙ্গারামপুর হিন্দু মিলন মন্দির প্রাঙ্গনে পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী পরেশানন্দজী মহারাজের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ,সাধু ভান্ডারার পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণ করা হয়,অনুষ্ঠানে উপস্থিত কলকাতা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৪০জন ত্যাগী সন্ন্যাসী তথা ব্রহ্মচারী সহ গুরুগত শিষ্য-ভক্ত প্রাণ অনুগামীরা উপস্থিত ছিলেন

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

গঙ্গারামপুর ৩রা অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর ——– একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী পরেশানন্দজী মহারাজের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ,সাধু ভান্ডারার পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণ করা হবে । ভাণ্ডারায় অনুষ্টনে কলিকাতা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪০ জন ত্যাগী সন্ন্যাসী তথা ব্রহ্মচারী পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী পরেশানন্দজি মহারাজের স্মৃতিচারণ করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর হিন্দুমিলন মন্দিরের গুরুগত প্রাণ শিষ্য-ভক্ত-অনুরাগীবৃন্দের উপস্থিতি ছিল বিরাট। দীর্ঘ ১০বছরের বেশি সময় ধরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ গঙ্গারামপুর শাখার অধ্যক্ষ পদে ছিলেন পূজ্য স্বামী পরেশানন্দজী।তার হাত ধরেই গঙ্গারামপুর হিন্দু মিলন মন্দিরটি হয়েছে একাধিক উন্নয়ন।তার নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছিল মন্দির প্রাঙ্গণে বিরাট আকারে মন্দিরও।মহারাজ গত ১০সেপ্টেম্বর রাত্রি ১০:৩০ মিনিটে গুরু মহারাজের চরণে চির বিশ্রাম লাভ করেন।তার চিরবিদয়ের অভাব মন্দিরটি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল বলে মনে করছেন অনেকেই।সেই সঙ্গে আরো একটি নক্ষত্রের পতন হল বলে মনে সকলেই।গত ১০সেপ্টেম্বর স্বামীজি পরেশানন্দজী মহারাজ দেহ রাখেন।তার সৎকাজ্য সম্পন্ন করেন কলকাতা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ১৫জন স্বামীজি মিলে।তার বিদায় বেলায় তাকে দেখতে অগণিত ভক্ত হাজির হয়েছিলেন। স্বামীজিকে রাজার সম্মান দিয়ে প্রদিপ্তানন্দজী মহারাজ মুখগ্নি করেন এবং তার অস্থি বিসর্জনদেন ফারাক্কা গঙ্গায়।সোমবার সকাল থেকে পরম পূজ্যপাদ স্বামী পরেশানন্দজি মহারাজের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, সাধু ভান্ডারার পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণ করা হয়।গঙ্গারামপুর হিন্দু মিলন মন্দিরের এদিনের অনুষ্ঠানে আশ্রমে কলকাতা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে প্রায় ৪০জন ত্যাগী সন্ন্যাসী তথা ব্রহ্মচারীরা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিন্দু মিলন মন্দিরের সম্পাদক ভূষণ বসাক,গঙ্গারামপুর হিন্দু মিলন মন্দিরে পরিচালন কমিটির সভাপতি রতন কুমার সাহা, সহ-সভাপতি মানিক কুমার দেব,যুগ্ম সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সাহা ও রবীন্দ্রনাথ দাস,এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১৯টি হিন্দু মিলন মন্দিরের দায়িত্ব থাকা নেতৃত্ব কর্মী,ভক্তজনেরা অবস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে বেলডাঙ্গা ও ওরঙ্গবাদ ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ অধ্যক্ষ তথা ভারত সেবাশ্রম সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উত্তরবঙ্গের মুখ্য প্রচারক প্রদিপ্তানন্দজী মহারাজ বলেন, পরেশানন্দজি মহারাজের অভাব কোনদিন পূরণ হবে না।তার স্মৃতিকে স্মরণ করে রাখার জন্যই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এবিষয়ে গঙ্গারামপুর হিন্দু মিলন মন্দির পরিচালন কমিটির সহ-সভাপতি মানিক কুমার দেব বলেন, মহারাজ আমাদের অনেক স্মৃতি দিয়ে গেলেন। তার এভাবে চলে যাওয়া আমাদের যে অভাব তা কোনদিন পূরণ হবে না।বিভিন্ন অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে মহারাজের স্মৃতিকে স্মরণ করা হলো। অনুষ্ঠানে ভক্তদের ভিড় হয়েছিল ব্যাপক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *