জলপাইগুড়ি:-
বেহাল সড়ক সংস্কার নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি। ভোগান্তিতে আমজনতা। রাস্তা তুমি কার? এই প্রশ্ন তুলে পথ অবরোধ এবং অবস্থান বিক্ষোভে শামিল নাগরিক মঞ্চ। জলপাইগুড়ির ঘটনা।
জলপাইগুড়ি শহরের পুরাতন মসজিদ থেকে পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এই রাস্তার প্রায় পুরোটাই বেহাল। খানাখন্দ ভরা রাস্তার কংকালসার চেহারা৷ বৃস্টি হলে জল জমে তা আরও ভয়ংকর চেহারা নেয়। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার সন্মুখীন হতে হয় পথচলতি মানুষকে। স্থানীয়দের দাবি, শেষ ২০১৪সালে সংস্কার হয়েছিলো রাস্তাটির। জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১৩নং, ১৪নং, ১৫নং ওয়ার্ড এবং খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে গিয়েছে অন্যতম ব্যস্ত এই রাস্তাটি। এতেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। পঞ্চায়েত বা পৌরসভা কেউই একা এই রাস্তার দায় নিতে চাইছে না। স্থানীয়রা পৌরসভা, পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদের দ্বারেদ্বারে ঘুরেছেন রাস্তা সংস্কারের আবেদন নিয়ে। তাতেও কাজ হয়নি। অবশেষে ডাঙ্গা পাড়া এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা নাগরিক মঞ্চ গড়ে রবিবার আন্দোলনে নামেন। বাশের ব্যারিকেড এবং কলাগাছের গুড়ি ফেলে দুদিকে অবরুদ্ধ করে পথ অবরোধ করেন তারা। চলে অবস্থান বিক্ষোভও।
বাসিন্দাদের ক্ষোভের বিষয়টি মেনে নিলেও খুব দ্রুত যে রাস্তাটি সংস্কার হবে তার নিশ্চয়য়তা দিতে পারেনি পৌরসভা বা পঞ্চায়েতের কর্তারা। খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোজ ঘোষ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের পক্ষে এত বড় রাস্তা করা সম্ভব নয়। জেলা পরিষদকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জেলা পরিষদের তরফে রাস্তার সমীক্ষাও করা হয়েছে। কিন্তু কেন রাস্তার কাজ শুরু হয়নি তা তার জানা নেই বলে জানিয়েছেন মনোজ ঘোষ।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পৌরসভার আর্থিক সঙ্গতি নেই এতবড় রাস্তা করার। তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন দফতরে রাস্তাটি সংস্কারের আবেদন জানানো হয়েছে। আবার আবেদন করা হবে।

