উল্লেখ্য প্রায় বেশ কয়েক বছর আগে ঢাকঢোল পিছিয়ে রাজ্য সরকারের জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চ্যাংড়া গ্রামে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বসানো হয়েছিল বিশুদ্ধ পানীয় জলের ট্যাংকি। সেই ট্যাংকি থেকে ই চ্যাংড়া গ্রামের পাঁচটি জায়গায় জল সরবরাহ করা হতো প্রতিনিয়ত। তার পাশেই রয়েছে চ্যাংড়া পিছলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামবাসীদের পাশাপাশি স্কুলের কচিকাঁচারাও সেই জলের ট্যাংকি থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করতেন বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। কিন্তু কিছুদিন ঠিকঠাক চলার পরে আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে অকেজ হয়ে পড়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ট্যাঙ্ক সহ পাঁচটি নলকূপ। সমস্যায় পড়েন চ্যাংড়া গ্রামের প্রায় একশত গ্রামবাসী সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও। বর্তমানে গ্রামের মাঝ বরাবর প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি মাটটু টিউবওয়েল। সেই টিউবল থেকেও আর্সেনিক যুক্ত জল বের হওয়া সত্বেও বেঁচে থাকার জন্য সেই আর্সেনিক যুক্ত জল প্রান করে চলেছেন গ্রামের মানুষজন ও চ্যাংড়া পিছলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রীরাও বলে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি থেকে বোতল ভর্তি করে জল নিয়ে এসে জল পান করে। তাছাড়াও চ্যাংড়া পিছলা প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই কোন বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা।বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে চ্যাংড়া গ্রামের দুই বাসিন্দা তুষার কান্তি দাস ও ও রঘুনাথ মাহাতোরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের চ্যাংড়া গ্রামে চ্যাংড়া পিছলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসানো হয়েছিল সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ট্যাংকি সহ পাঁচটি নলকূপ। সেখান থেকেই আমরা বিশুদ্ধ জল পান করতাম। আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে রাস্তার কাজ করার সময় পাঁচটি নলকূপ অকেজ হয়ে পড়ে। এর ফলে বর্তমানে সেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের ট্যাংকটি জঙ্গল ও আগাছায় ভরে গিয়েছে। এখন আমরা দূরে একটি মাত্র টিউবল থেকে জল নিয়ে আসি। কিন্তু সেই টিবল থেকেও আর্সেনিক যুক্ত বের হয়। সেই জল খেয়েই জীবন জীবিকা করে চলেছি আমরা। বহুবার প্রধান থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক।
এ বিষয়ে বংশীহারী পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গনেশ প্রসাদ জানিয়েছেন, এটি ব্রজ বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। তাকে বলবো অতি দ্রুত যাতে এলাকার মানুষজনেরা বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করতে পারে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।
এখন দেখার এটাই ঠিক কবে নাগাদ প্রশাসনিক কর্তাদের ঘুম ভাঙ্গে ও চ্যাংড়া গ্রামের বাসিন্দারা বিশুদ্ধ পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়।

