, বালুরঘাট, ১৯ জুন —-— বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জোর করে প্রত্যাহারের অভিযোগ কে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা গঙ্গারামপুরে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বিডিও অফিসে। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যা নিয়ে এদিন গঙ্গারামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তাদের অভিযোগ, বিডিও অফিসের ভেতরে ঢুকে তৃণমূল কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করেছে বিজেপি নেতৃত্বরা। যা নিয়ে তৃণমূলের তরফেও পালটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। জানা গেছে, এদিন সকালে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী দীনবন্ধু সরকারকে একপ্রকার জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে গঙ্গারামপুর বিডিও অফিসে নিয়ে আসেন তৃণমূল কর্মীরা বলে অভিযোগ। যে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কাজ শুরু করতেই তাদের বাধা দেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। আর যাকে ঘিরেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে। এদিন দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরেই পুলিশের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। যদিও পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপী সরকারের দাবী গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে ভাঙচুর করা হয়েছে। গঙ্গারামপুরে জোর করে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, দীনবন্ধু সরকারকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি তাকে প্রার্থী করেছিল। তিনি নন্দনপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মীর আত্মীয়। তিনি তার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং তিনি স্বেচ্ছায় তার প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে চেয়েছেন। বিজেপি কর্মীরা দীনবন্ধু সরকারকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে বাধা দেয় এবং হাতাহাতি হয়।

