যেখানে গাছগাছালিতে থাকবে ভর্তি, গাছে গাছে ঘুরে বেড়াবে রকমারি পাখি। পাখিদের কলতানে ভরে উঠবে পার্ক চত্বর। তাদের মাঝে বসে নিশ্চিন্তে সময় কাটানো। সেই স্বপ্নই পূরনের পথে সচেষ্ট হলেন সারফারাজ আহমেদ ওরফে রাজ। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার অন্তর্গত উত্তর লক্ষীপুরের গ্রামে। কোলাহল জীবনের বাইরে খুঁজতে চাই একটু স্নিগ্ধ বাতাস ও আলো। এরপরেও গ্রামের বাড়ির উঠোনে থাকে সবুজে ঢাকা ছোট্ট একটা বাগান কিংবা বাড়ির প্রবেশ দ্বারেই থাকে সাজানো একটা ছোট্ট পার্ক, তাহলে সেই আনন্দই আলাদা। এরকম স্বপ্নের একটি ছোট্ট পার্ক গড়ে দিশা দেখালেন যুবক। সারফারাজ পেশায় আবার উকিল। এত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের স্বপ্ন পূর্ণ করতে সচেষ্ট হলেন তিনি। ২৭ বছর এই যুবকের বাড়ি কালিয়াচক দুই ব্লকের উত্তর লক্ষীপুরের গ্রামে। এখন বহু জায়গায় গড়ে উঠছে পাকা নির্মাণ।
কংক্রিটে ঢেকে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে সবুজের সৌন্দর্যায়ন। তাঁর গড়া পার্কে রকমের ফুলগাছে ভরিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে। মেক্সিকান ঘাসের মাদুর যেন বিছানো হয়েছে পার্কে। ঘাস আনা হয়েছে কলকাতা থেকে। খানিকটা পাহাড়ি পার্কের আদলে গড়া হয়েছে পার্কটি। মাত্র দেড় কাঠা জমিতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে পার্কটি গড়া হয়েছে। দোলনা, সাউন্ড সিস্টেম রাখা হচ্ছে ।পরিবার-পরিজনদের নিয়ে একটু প্রকৃতির মধ্যে কাটানোর উদ্দেশ্য নিয়ে পার্কটি নির্মাণ করা। সারফারাজ আহমেদ জানান, ‘কোলাহল পূর্ণ জীবনের বাইরে একটু প্রকৃতির মধ্যে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কাটানোর কথা ভেবে পার্ক তৈরি করার কাজ শুরু করি। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল ছোট একটি পার্ক তৈরি করার। সাধারণত পাহাড়ি হোম স্টেগুলিতে যে ধরনের খোলা আকাশের নিচে কাটানোর পরিবেশ তৈরি করা হয়, খানিকটা সেই আদলেই তৈরিতে সচেষ্ট আছি। দোলনা কিছু জিনিস দিয়ে আরো সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। গ্রামবাসী-সহ পরিজনদের সঙ্গে আমার বাগান বাড়িতে বসে মুক্ত মনে, খোসমেজাজে বসে গল্প করার মজাই আলাদা।

