গঙ্গারামপুর ১৭জুন দক্ষিণ দিনাজপুর:——- ভোট ঘোষনার পর থেকেই তৃণমূলে ভাঙ্গন অব্যাহত বুনিয়াদপুরে। তৃণমূল থেকে সিপিএমে যোগদান প্রায় শতাধিক পরিবারের ৪০০ জন বলে দাবি সিপিএমের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের মহাবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার ঘটনা।এলাকায় নেই কোন উন্নয়ন তাই প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকেই তৃণমূলে ভাঙ্গন জানালেন সিপিএম নেতা ও এলাকাবাসীরা। বংশীহারীতে এমন দলবদলের ফলে শাসকদলের যে ঘুম ছুটবে পঞ্চায়েত ভোটে সে ব্যাপারে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর মাত্র কয়েক দিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচন এগিয়ে আসতেই তৃণমূলে ভাঙন ধরেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সিপিএম ও কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ওই এলাকার গ্রামবাসীদের অভিযোগ আমাদের গ্রামে তৃণমূল নেতাকর্মীরা চোর ও দুর্নীতিতে জড়িত। কোনো রকম সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেনা গ্রামের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পাবার জন্য দিতে হয় টাকা। যারা টাকা দিতে পেরেছে তারাই শুধু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পেয়েছে। যারা প্রকৃত গরিব এবং টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে কোনো রকম ভাবেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের সুযোগ-সুবিধা থেকে শুরু করে কোন কিছুই পাওয়া যায় না। একপ্রকার বাধ্য হয়ে তৃণমূল থেকে সিপিএমের যোগদান করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা বলে তারা জানান। এদিনের এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের বংশীহারী এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন। ডি ওয়াই এফ আই সম্পাদক জাহান্দার হোসেন সহ আরো অনেকে। সিপিএমের এক নিষ্ঠ কর্মী জান্দার হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করলেন।
যোগদান কর্মসূচিতে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম যোগদানকারী কোবির আলম ও গুলজার হোসেনেরা জানিয়েছেন ,আমরা বহু বছর ধরে তৃণমূল দল করে এসেছি। কিন্তু আমরা কোন রকম ভাবে কোন কিছুতে সুযোগ সুবিধা পাই না। যারা টাকা দিতে পারে তারাই শুধু সুযোগ সুবিধা নিতে পারে যারা প্রকৃত গরিব যারা টাকা দিতে পারেনা তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর থেকে শুরু করে কোন কিছুতেই সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেনা। তাই আমরা তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদান করলাম।
এবিষয়ে সিপিএম বংশীহারী এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে তৃণমূল সরকার চোর ও দুর্নীতিতেভরা। তাই বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল নেতা কর্মী সমর্থকেরা ঘাস ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করছে। এরকম যোগদান কর্মসূচি আরও হবে। রাজ্যের মন্ত্রী বিধানসভা এলাকায় এমন দল বদলে রীতিমতো এলাকাজুড়ে শোরগোল পড়েছে

