বংশীহারিতে নির্মানের তিন মাসের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো আস্ত কালভার্ট! আঁতকে উঠলো বাসিন্দারা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাচটি গ্রামের।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

বালুরঘাট, ১৩ আগষ্ট ————– হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো আস্ত কালভার্ট! দেখলে আঁতকে উঠবেন আপনিও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারি ব্লকের মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শ্যামপুর এলাকায়। ঘটনা নিয়ে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাত্র তিনমাস আগে তৈরি হয়েছিল বড় মাপের ওই কালভার্টটি। যেখানে নামমাত্র সিমেন্ট ব্যবহার করে শুধুমাত্র ইট আর বালি দিয়েই তৈরি করা হয়েছিল ওই কালভার্টটি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আর যে কারণে এলাকায় সামান্য জল বাড়তেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে ওই আস্ত কালভার্টটি। ঘটনার কথা অবশ্য জানেনই না বলে জানিয়েছেন বংশীহারি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রায় তিন মাস আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের উত্তর শ্যামপুর এলাকায় গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে পঞ্চায়েতের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দে তৈরি হয় হয়েছিল বড় মাপের ওই কালভার্টটি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে কালভার্ট নির্মানে প্রথম থেকেই অতি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তা নিয়ে কোন কর্নপাত করেনি কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার ও ব্লক প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আর এরপর খরার মরশুম শেষ হয়ে শ্যামপুর খাড়িতে জল বাড়তেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নবনির্মিত সেই কালভার্টি। যা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে এই ঘটনার জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বংশীহারী ব্লকের ধুমসা দীঘি, ঘাসিপুর, চ্যাংড়া, পিছলা সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা পরেও এলাকায় কোন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি বা ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের দেখা না মেলায় গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়েছেন বাশের সাকো তৈরিতে। যদিও জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, কি কারনে ভেঙে পড়েছে ওই কালভার্টটি তা নিয়ে তদন্ত করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিও কে।

গ্রামবাসী সমর মন্ডল ও অনিল চন্দ্র মন্ডলরা বলেন, অতি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কালভার্টি তৈরি হওয়ার জন্যই জল বাড়তেই তা ভেঙে পড়েছে। নামমাত্র সিমেন্ট ব্যবহার করার ফলেই তা ভেঙে ধ্বসে গিয়েছে। প্রথম থেকেই তারা এই কালভার্ট নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ আনলেও কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার ও প্রশাসনের আধিকারিকরা কেউ কর্নপাত করেনি। আর যে কারণে মাত্র তিনমাসের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে পড়েছে আস্ত কালভার্টটি।

বংশীহারি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ প্রসাদ জানিয়েছেন, সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকেই এই খবর তিনি প্রথম শুনেছেন। খোজ নিয়ে দেখছেন কে বা কাহারা এই কালভার্টটি নির্মান করেছিল।

বংশীহারী ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অরিত্র দালুই জানিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে তার তেমন কিছু জানা নেই।

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, নির্মানের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে কি কারণে এমনভাবে ভেঙে পড়লো কালভার্টটি তার তদন্ত করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিডিও কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *