প্রেম করে বিয়ে করার কয়েক মাসের মাথায় গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের বোরডাঙ্গি এলাকার এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়ির স্বামী সহ সকলে মিলে অত্যাচারে করে খুন করার পর হাসপাতালে রেখে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে-তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

গঙ্গারামপুর ১২ ই আগস্ট দক্ষিণ দিনাজপুর। প্রেম করে বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের বোরডাঙ্গি এলাকায়। মৃতের বাবা-আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীদের পাশাপাশি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের অভিযোগ,শ্বশুরবাড়ির স্বামীর সহ সকলে মিলে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে গেছে শশুর বাড়ির সকলেই।দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবী জানিয়েছে সকলেই।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে সুরাতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়েছে বালুরঘাটে। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে, তাদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ঘটনায় মৃতের আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় জুট মিলের কর্মী জগন্নাথ হালদারের একমাত্র মেয়ে রিয়া হালদার(সরকার)বয়স ২০ বছররের সঙ্গে কয়েক মাস আগে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল সরকারের ছেলে পেশায় মাছ বিক্রেতা উত্তম সরকার ভালোবাসা সম্পর্ক তৈরি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।পরে অবশ্য উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়েও হয় দুজনের।মৃত গৃহবধুর পরিবারে রয়েছে বাবা জগন্নাথ হালদার পেশায় জুট মিলের কর্মী।মা অপর্না হালদার ,তাদের এক ছেলেকে নিয়ে সংসার। মৃত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করার পর থেকেই মেয়ের উপরে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হতো স্বামী শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের তরফে। এমনকি তারা মেয়ের বাড়িতে গেলে কথাবার্তা ভালো করে বলতে দিতো না শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা বলেও অভিযোগ তাদের।প্রতিনিয়ত স্বামী উত্তম সরকার, শ্বশুরবাড়ির সুনীল সরকার শশুর,শাশুড়ি ,সহ আরো বেশ পরিবারের আত্মীয়-স্বজন মিলে মিলে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করত ওই গৃহবধূকে বলে খবর।অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে,মেয়ে এসে তাদের বাড়িতে সে কথা জানাতো। মৃত গৃহবধুর বাবা গঙ্গারামপুর পুরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জগন্নাথ হালদার ও তার বৌদি সরস্বতী হালদারের অভিযোগ,প্রেম করে বিয়ে হবার পর থেকেই মেয়ে শ্বশুরবাড়ি লোকজন নানাভাবে অত্যাচার করত।শুক্রবার রাতে ষড়যন্ত্র করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্বামী সহ সকলে মিলে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে।দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানায়। মৃত গৃহবধূর বাবার বাড়ির এলাকার এক প্রতিবেশী বলরাম বসাক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পাড়ার ভালো মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেই শ্বশুর বাড়ির স্বামীসহ সকলে মিলে হাসপাতালে দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে গৃহবধুর শশুর বাড়ির পরিবারের স্বামী সহ সকলেই।দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। এমন ঘটনার খবর পেতেই প্রতিবেশীদের পাশে এসে দাঁড়ান গঙ্গারামপুর পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পশ্চিম হালদার পাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মী হালদার (দেববর্মন )।তিনি তাদের সমবেদনা জানিয়ে বলেন,দোষীরা যেভাবে মেয়েটির জীবন শেষ করে দিল পুলিশ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেক। ঘটনার খবর পেয়ে মৃত গৃহবধুর পরিবারের লোকজন প্রথমে হাসপাতালে ছুটে যায়।পরে থানায় এসে তারা কান্না ভেঙে পড়ে। পুলিশও বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে যেহেতু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে ওই গৃহবধূর এমন মৃত্যু হয়েছে তাই ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে সুরাতহাল করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠিয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক রয়েছে। তাদের খোজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এমন ঘটনায় মৃতের পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *