প্রভাবশালীরা হুমকি দিলে ব্যবস্থা নেবে পুলিস, আবাস যোজনায় কঠোর নবান্ন

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

কেন্দ্র। সেই সঙ্গে চাপিয়ে দিয়েছে একাধিক শর্তের বোঝা। তাদের দেওয়া সব শর্ত ও মাপকাঠিকে মান্যতা দিয়েই গরিব মানুষের ঘর তৈরি করে দিতে বদ্ধপরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই এক্ষেত্রে প্রশাসনিক নমনীয়তার যে কোনও জায়গা নেই, আগেই স্পষ্ট করেছিল নবান্ন। তারপরও দেখা যাচ্ছে, প্রকল্পের দাবিদারদের প্রকৃত পরিস্থিতি যাচাই করতে গিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন আশাকর্মীরা। নিজস্ব পাকাবাড়ি আছে, এমন ব্যক্তির নামও উপভোক্তা তালিকায় উঠে আসছে। এবার তাই আরও কড়া নবান্ন। রাজ্য সরকারের নির্দেশ, যাচাইপর্ব চলাকালীন কোনও প্রভাবশালী প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি, যাচাইয়ে নিযুক্ত আশাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিয়েছেন, কাজে বেরিয়ে আশাকর্মীরা বিক্ষোভ বা হুমকির মুখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিসকে। মঙ্গলবার উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি সহ গ্রামোন্নয়নের অন্যান্য কাজ নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই বিষয়গুলি স্পষ্ট করে দেন মুখ্যসচিব।
প্রসঙ্গত, প্রভাবশালীরা নানা কারসাজি করে, কখনও হুমকি দিয়ে এমন অনেকের নাম উপভোক্তা তালিকায় রাখতে বাধ্য করছেন, যাঁদের নিজস্ব পাকাবাড়ি আছে। প্রকৃত অবস্থা যাচাই করে আশাকর্মীরা কোনও নাম তালিকায় রাখতে না চাইলে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, এরকম ঘটনা ঘটলে শুধু জেলাস্তর থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলেই চলবে না। তখনই খবর পাঠাতে হবে নবান্নে। সূত্রের খবর, প্রকৃত উপভোক্তা যাচাইয়ের হার কম হওয়ায় মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, মালদহ, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ্যসচিব এদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কাজের গতি শ্লথ হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাচাই সংক্রান্ত কাজ শেষ করে গ্রামসভার মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা আরও একবার করে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। কারণ, এই সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা না তৈরি হলে  বাংলার জন্য বরাদ্দের বাকি অংশ অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা এখন রাজ্যের মূল লক্ষ্য। যাচাই পর্বে অশান্তি এড়াতে জেলা পুলিসের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। সেই সঙ্গে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের পড়ে থাকা কাজ দ্রুত শেষ করা এবং সড়ক যোজনা, আরআইডিএফ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া সময়ের মধ্যে সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *