বিগত ১৭ বছর ধরে হয়ে আসছে রক্ষাকালী মাতার পুজো। এই পুজো বিগত বছর ধরে করা হচ্ছে বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে, রক্ষাকালী পুজো কমিটির উদ্যোগে। রক্ষা কালী পুজোর কে কেন্দ্র করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন রেল দপ্তরের কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু করা হয় রক্ষা কালী মাতার পুজো। এদিন খুঁটি পুজতে উপস্থিত ছিলেন রক্ষা কালী পুজো কমিটির সম্পাদক অমল সরকার, পুজো কমিটির সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সরকার, পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুমন সরকার সহ পুজো কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। আগামী শুক্রবার রক্ষা কালী মাতার পুজোর শুভ উদ্বোধন করে পুজো শুরু হবে। ফিতে কেটে এই পুজোর শুভ উদ্বোধন করবেন ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। রক্ষা কালী মাতার পুজোকে ঘিরে মেলার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাউল গান সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুজোর দিন গুলিকে পালন করা হয়। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বহু দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে ভক্তরা। প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই পুজোকে ঘিরে। প্রতি বছর রক্ষাকালী মায়ের কাছে মানশিদ করে থাকেন বহু মানুষ। প্রতি বছর রক্ষা কালী মায়ের চরণে করা পাঠা বলী। যে সমস্ত ভক্তগনদের মানচিত্র পূরণ হয় তারা আবারও ছুটে আসে মায়ের চরণে দর্শন পুজো দেবার উদ্দেশ্যে। পুজোর পরের দিন গুলিতেও আনন্দ উৎসাহে মেতে উঠে সকলে।
এই বিষয়ে পুজো কমিটির সেক্রেটারি অমল সরকার ও সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ সরকার জানিয়েছেন এবারে ১৭ তম বর্ষে রক্ষা কালী মাতার পুজো করে আসছি আমরা। পুজো কে কেন্দ্র করে শুরু হয় মেলা ও অনুষ্ঠিত। পুজোর দিন গুলোতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। পুজোর কয়টি দিন আমরা সকলে একত্রিত হয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠি।

