পুনর্ভবার ত্রাস! রাতের অন্ধকারে তপনে ভাঙলো নদীবাঁধ। বন্যার ভ্রুকুটি দক্ষিন দিনাজপুরে।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 বালুরঘাট, ২৬ সেপ্টেম্বর ——— পুনর্ভবার ত্রাসে তপনে রাতের অন্ধকারে ভাঙলো বাঁধ। জলপ্লাবিত এলাকা, আতঙ্কিত বাসিন্দারা। সোমবার রাত থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের মান্দাপাড়া এলাকায়। ঘটনার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়েছে দুটি পঞ্চায়েতের যোগাযোগ ব্যবস্থাও। জলে তলিয়ে গেছে আবাদি জমি। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে মান্দাপাড়া, খাটিয়াপাড়া, নওগা, চক জামালপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে রাত থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলাকায় পৌছালেও ত্রান বা উদ্ধার কাজ কোনটাই এখনও সেভাবে শুরু করতে পারেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে টানা তিনদিন ধরে লাগাতার বর্ষনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রায় সবকটি নদীর জলই বেড়ে গিয়েছে। তবে বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে পুর্নভবা নদীর। সোমবার যার ত্রাসে গঙ্গারামপুরের সুকদেবপুর এলাকায় ভেঙে যায় বাধ। ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যাও দাঁড়ায় অনেক। এরপর ওইদিন রাতে ফের পুনর্ভবার ত্রাসে তপনের মান্দাপাড়া এলাকায় ভেঙে যায় নদীবাধ। আর যার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রামপাড়া চ্যাচড়া ও রামচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনার জেরে মান্দাপাড়া সহ পাচ ছয়টি গ্রাম ইতিমধ্যেই জলপ্লাবিত হয়েছে। বহু ঘরবাড়িই ডুবে গিয়েছে এলাকায়। এদিকে রাত থেকে পুনর্ভবার জল আরো বাড়তে থাকায় তুমুল আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে গোটা তপন ব্লকে। আর যার কারনে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাবার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়।

টিঙ্কু রায় ও পিন্টু বর্মনরা বলেন, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে দুপারের মানুষদের। আর যে কারনেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সকলেই। পাথর দিয়ে নদীর পাড় বাধায়ের পরেও কিভাবে তা ভেঙে তলিয়ে গেল তা তারাও বুঝতে পারছেন না। তারা চান প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে দ্রুত মেরামতি করা হোক রাস্তা।

স্বাস্থ্যকর্মী তহমিনা খাতুন বলেন, নদীর জল ক্রমশ বাড়ছে। জল হুহু করে ঢুকছে গ্রামে। এখনো বাসিন্দাদের অন্যত্র সরাবার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুটি ফ্লাড সেন্টার। তারা জরুরি কালীন ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ওষুধ প্রদান করছেন সাধারণ মানুষজনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *