কালিয়াগঞ্জ২২ ডিসেম্বর:————— কথায় আছে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পর্বন। আর এই ১৩ পর বোনের মধ্যে পিঠাপুরি পার্বণ বাঙালিদের অন্যতম একটি পার্বণ। পৌষ মাসের সংক্রান্তিতে পিঠাপুলি তৈরি হয় বাঙালির প্রতি যে বাড়িতেই কমবেশি। আর সেই কারণেই পিঠাপুলি তৈরি করতে যে সমস্ত মাটির প্রয়োজনীয় সামগ্রিক দরকার হয় সেগুলি তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফা নাগরের পালপাড়ার গৃহবধূ উমা পাল সুমিত্রা পাল সহ অনেকেই দুটো পয়সার রোজগারের কারণে। ষাট ছুঁই ছুঁই মহিলা উমা পাল বললেন আমরা প্রতি বছর এই সময় প্রচুর পরিমাণে পিঠাপুলির কারণে নানান ধরনের মাটির সামগ্রী বানিয়ে থাকি। বাজারে পিঠাপুলির সময় এই সমস্ত মাটির যে সামগ্রী দিয়ে পিঠাপুলি তৈরি হয় তা বিক্রিও হয়। ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের সোনার দাম কোনটি দশ টাকা কমিটি ১৫ টাকা করা এর দাম ১০ টাকা নানান ধরনের দ্রব্য আমরা বানিয়ে থাকি। সুমিত্রা পাল ক্ষুব্ধ হয়ে জানালেন ফোনের বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে এই সমস্ত ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে ।অথচ আমরা মুস্তা বানাবো গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে থেকেও জানতে পারি না কবে লোন মেলা হচ্ছে কি কি বিষয়ের উপরে লোন দেওয়া হয়। সরকার থেকে আমরা যদি সামান্য পরিমাণ অল্প সুদে ঋণ পেতাম তাহলে আমাদের এই ব্যবসা আরো অনেক বড় আকারে করতে পারতাম। তারপরে অতিরিক্ত পয়সার মুখ দেখা যেত। কিন্তু সরকার শেষ সুযোগ আমাদের দেয়না বলে ক্ষুব্ধ হয়ে জানালেনঅথচ মুস্তাফা নাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাম মোস্তাক প্রধান বলেন আমরা এই জীবন মাইকিং করে জানিয়েছে যাতে সবাই জানতে পারে। এরপরেও যদি কেউ না জানে বা জানবার চেষ্টা না করে তাহলে পঞ্চায়েত থেকে কি করতে পারে? মুস্তাফা নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাম মোস্তাক প্রধান বলেন তাদের যদি ঋণের প্রয়োজন হয় অবশ্যই পঞ্চায়েত অফিস আছে আবেদন করতে হবে। আমরা তবেই তো তাদের সম্পর্কে কিছু একটা করতে পারবো আর যদি নাই আসে তাহলে সেখানে আমাদের করার কি আছে?

