বালুরঘাট, ৩০ মার্চ —–— পশ্চিমবঙ্গে ১১ লক্ষ মানুষের ঘর আটকে রেখেছে কেন্দ্র! বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সুকান্তর। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট প্রচারে বেরিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। যে ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর তীব্র তোপের মুখে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, জেলার মানুষের ঘরের টাকা আটকে রেখে গর্ব বোধ করছেন সুকান্ত বাবু। নিজের ভোট প্রচারে বেরিয়ে তিনি আবার প্রকাশ্যে তা স্বীকারও করছেন। তাহলে কেন তাকে এই কেন্দ্রের সাধারণ মানুষ ভোট দেবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন তার এক ফোনেই একশো দিনের কাজের টাকা পেয়ে যেতে পারে এরাজ্যের মানুষ। ভোটের আগে যাকেই প্রচারের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলে তৃণমূল। এবারে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ভোট প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যের ১১ লক্ষ মানুষের আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। দলের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে ওই সভায় বক্তব্য রাখবার সময় সুকান্ত বাবুকে বলতে শোনা গেছে পশ্চিমবঙ্গে ১১ লক্ষ মানুষের আবাস পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। যেগুলি আটকে আছে, হচ্ছে না। কেননা ওই টাকা দিলে তৃণমূলের চোরগুলো সেই ঘর সাধারণ মানুষকে না দিয়ে নিজেরা নিয়ে যাবে। চুরি রুখতে হবে, চোরগুলো জেলে যাবে। তারপরেই লোকসভা ভোটের পরে আবার প্রধানমন্ত্রী সকলের ঘর পাইয়ে দেবে। তাই চুরি বন্ধ না করলে কেন্দ্র টাকা দেবে না। কেন্দ্র টাকা দেবে আর তোমরা চুরি করে বান্ধবীর খাটের তলায় লুকোবে, এটা বরদাস্ত করা হবে না। সুকান্তর করা এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে কি গোটা রাজ্যে আবাস যোজনায় আবেদনকারী ১১ লক্ষ উপভোক্তাই তৃণমূলের নেতা কর্মী ? সুকান্তর করা মন্তব্যে এমনই প্রশ্ন উস্কে উঠেছে। আর যাকে হাতিয়ার করেই জোর প্রচারে নেমেছে তৃণমূল।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, সাধারণ মানুষের ঘরের টাকা আটকে রেখে গর্ব বোধ করছেন এই কেন্দ্রের প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর আগেও একশো দিনের টাকা আটকে রাখবার ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার হস্তক্ষেপে যদি এরাজ্যের মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে থাকে তবে কি কারনে মানুষ তাকে ভোট দেবে।

