বালুরঘাট ৩ অক্টোবর দক্ষিণ দিনাজপুর।প্রেম করে বিয়ে হবার কয়েক মাসের মাথায় পনের টাকা না পেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার কেওবাড়া এলাকায়। মৃতের বাবা বালুরঘাট থানায় জামাইসহ তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির “৩”জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে,তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানাই মৃত ওই গৃহবধুর নাম রিংকু রায় বয়স(১৯)তার বাবার বাড়ি তখন থানার গোফানগর এলাকায়। প্রায় বছরখানেক আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বালুরঘাটের কেওবাড়া গ্রামের ফটিক দেবনাথ এর ছেলে খোকন দেবনাথের সঙ্গে বিয়ে হয়।তাদের পরিবারে খোকন ছাড়াও বাবা ফটিক দেবনাথ মা বন্দনা দেবনাথ রয়েছে। মৃতের বাবা পরিতোষ রায়ের অভিযোগ,”বিয়ের পর থেকেই অনেক টাকার জন্য শারীরিক অত্যাচার করতো মেয়েকে। এবার মেয়েকে শশুর বাড়ির স্বামী খোকন বাবা ফটিক ও বন্দনা দেবনাথরা মিলে শ্বাসরোধ করে করে খুন তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে ওরা। পরে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল ঘটনা ধামাচাপা দিতে।দোষীদের ফাঁসির শাস্তি জানাই।”। বালুরঘাট থানার পুলিশ ওই গৃহবধুর মৃতদেহ জেলা সদর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে। জেলা পুলিশের ডিএসপি সদর বিক্রমপ্রসাদ বলেন,”লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এদিকে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমন ঘটনায় মৃতের পরিবার সহ এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

